জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২৬ জানুয়ারী : বাগদেবী সরস্বতীর আরাধনায় মেতে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যদের দেবীর আরাধনায় মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেবীর পোশাকেরও পরিবর্তন হয়েছে। চিরাচরিত শ্বেত বসনের পরিবর্তে রঙিন বসন উঠেছে দেবীর গায়ে। কোথাও আবার মূর্তির দৈর্ঘ্যের মধ্যেও বিবর্তন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর তরুণ সংঘের মূর্তির ভাবনায় আছে যথেষ্ট নতুনত্ব। কোনো পেশাদার শিল্পীর মস্তিষ্ক থেকে এই ভাবনাটা আসেনি। একাদশ শ্রেণির ছাত্র জিৎ ও তার থেকে কিছুটা বড় সুদেব – এই দুজন মিলেই তৈরি করেছে এই মূর্তি।
হিন্দু শাস্ত্রানুযায়ী মহাদেব কন্যা হলেন দেবী সরস্বতী। শিল্পীর ভাবনায় এখানে শিবের হৃদয়ে অবস্থান করছেন দেবী। পিতা যেন পুজোর সময় তার সন্তানকে নিজে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। সত্যিই ভাবনার মধ্যে অভিনবত্ব আছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মূর্তি দেখার জন্য ভিড়ও বাড়ছে। গত ২৫ বছর ধরে এখানে পুজো হলেও গত ৫ বছর ধরে জিৎ, সুদেব, স্বস্তিকা, মিতালী, বাপ্পা, রাহুল, অয়ন, ঋজু, শিল্পা, মেঘা, রূপালী সহ অন্যান্য ক্ষুদেরা নিজেদের সাধ্যমতো পুজোর আয়োজন করে চলেছে। পাশে আছে তাদের অভিভাবকরা। অনেক কিছু অভাবের মধ্যেও ওদের আনন্দের কোনো অভাব নাই।
অন্যতম কারিগর জিতের কাছে জানা গেল, মামার বাড়িতে গিয়ে সে এই থিমটা পেয়েছে। তারপর দু’জনে আলোচনা করে এই মূর্তি তৈরি করেছে। কাঠামোর ভাবনাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে দেখে আয়ত্ব করেছে। তবে ভাবনা যেখানেই পাক মূর্তির মধ্যে যে অভিনবত্ব আছে ঠাকুর দেখতে এসে একবাক্যে সবাই স্বীকার করছে ।।