এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেরালা,২৭ ডিসেম্বর : অবৈধ মুসলিম কলোনি গুঁড়িয়ে দেওয়ায় কর্ণাটক সরকারের উপর বেজায় চটেছেন কেরালার সিপিএম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন । তিনি কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন যে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতই কর্ণাটকেও বুলডোজার নীতি আনার কাজ চলছে। তিনি বলেছেন,এটা খুবই দুঃখজনক যে বেঙ্গালুরুর ইয়েলহাঙ্কার কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি এবং ওয়াসিম লেআউটে মুসলিম বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে, যেখানে বহু বছর ধরে মুসলিম পরিবার বসবাস করে আসছে। এখন, যদি এই শীতে হঠাৎ করে বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়, তাহলে তারা কোথায় যাবে? কেরালার মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন যে এই ঠান্ডায় শিশু এবং মহিলাদের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “কর্ণাটক কংগ্রেস সরকার বেঙ্গালুরুর ফকির কলোনি এবং ওয়াসিম লেআউটে বছরের পর বছর ধরে বসবাসকারী মুসলিম পরিবারগুলিকে উচ্ছেদ করে বুলডোজার রাজ নীতি অনুসরণ করছে । এটা দুঃখজনক যে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার এখন সংঘ পরিবারের সংখ্যালঘু বিরোধী রাজনীতি অনুশীলন করছে। যখন ভয় ও বর্বরতার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালিত হয়, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং মানবিক মর্যাদা প্রথম শিকার হয়। এই প্রতারণামূলক প্রবণতার বিরোধিতা এবং পরাজিত করার জন্য সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্রিত হতে হবে ।”
প্রসঙ্গত,কেরালার সিপিএম সরকারের তোষামোদি রাজনীতির কারনে কেরালায় আজ হিন্দুরা কার্যত সংখ্যালঘুতে পরিনত হয়েছে । শুধু তাইই নয়, ইসলামি চরমপন্থার এপিসেন্টারে পরিনত হয়েছে ওই রাজ্যটি । ভারতকে ইসলামি রাষ্ট্র করার লক্ষ্যে কেরালায় রীতিমতো অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছিল একটি ইসলামি চরমপন্থী গোষ্ঠী । যে গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রক। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন মুখে গনতন্ত্র রক্ষার কথার কথা বললেও তার রাজ্যেই বিরোধী আওয়াজকে দাবিয়ে রাখার কাজ করা হয় । সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর দ্বারা একাধিকবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের নেতাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে কেরালায় । এমনকি প্রকাশ্য রাস্তায় আর এস এস নেতাকে নির্মমভাবে খুন পর্যন্ত করা হয়েছে ।।

