এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ অক্টোবর : রবিবার আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের প্রশংসার পাশাপাশি মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে ফের মুখ খোলেন । মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’উনি বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার জন্য এই কথাগুলো বলছেন । এর আগেও তাঁকে বিচারপতিদের পরামর্শ দিতে দেখা গেছে । আজকেও তিনি এজন্য এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করেছেন ।’
শুভেন্দু বলেন,’তিনি সচারাচর রবিবারে বের হন না । এদিন সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে সূরজ কুন্ডে এত বড় গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন হয়ে গেল,যেখানে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন, সেখানে গেলেন না । এটা একটা সীমান্তবর্তী রাজ্য, অনেক কিছু বলার সূযোগ ছিল । কিন্তু সেখানে না গিয়ে আজকের এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করেছেন বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার জন্য । কারন পশ্চিমবঙ্গের দূর্নীতিগুলো নিয়ে যেভাবে বিচারব্যবস্থা এগিয়ে এসেছে তাতে তিনি ভীত,আতঙ্কিত,তার পুরো দল আতঙ্কিত । সেই কারনে তিনি এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন ।’
এদিন খিদিরপুরে ইকবালপুর, মোমিনপুরে হিংসায় আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী । পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি ২৮ টি পরিবারের হাতে দলীয়ভাবে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে আসেন । এদিকে মোমিনপুরের ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক উসকানিমূলক কথা বলার অভিযোগে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
আক্রান্তদের হাতে সাহায্য তুলে দিতে এসে তিনি এই বলেন,’আমার বিরুদ্ধে এই রকম বহু মামলা হয়েছে । আমি কোনো ধর্মীয় উসকানিমূলক কথা বলিনি । আমি বলেছি আবার বলছি,মোমিনপুরে হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছে বাড়িঘর ভেঙেছে । এটা নতুন কথা কি ? এতে অন্য ধর্মের লোকের পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করার কি আছে ? পুলিশের মামলা করার বা কি কি আছে ? জামিন যোগ্য অযোগ্য আমার কাছে বিষয় নয় । এই রকম মামলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে ২১-২২ টা করেছেন । আমার কিছু যায় আসে না ।’ তিনি বলেন,’ আমি সব সময় বিবেকানন্দের কথা বলি । বিবেকানন্দ যেমন বলেছিলেন, গর্ব করে বলো আমি হিন্দু । পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছিলেন, আমি নিজের ধর্মের প্রতি আস্থাশীল এবং অপর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । আমি সেই নীতিতেই বিশ্বাসী ।’
পাশাপাশি মোমিনপুরের হিংসার ঘটনায় এনআইএর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,’
এই বিষয়ে এনআইএর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।
যত দেরি হবে তত প্রমান নষ্ট হবে । ভিডিও দেখে দেখে নবান্নের আন্দোলনকারীদের যদি কোচবিহার থেকে এগরা পর্যন্ত তুলে গ্রেফতার করা যায় তাহলে একবালপুরে যারা থানা দখল করেছিল ভিডিও দেখেই তো তাদের চিহ্নিত করা যেতে পারে । এন আই এর মন্থর গতির কাজে আমরা সন্তুষ্ট নই । আর একটু স্পীড বাড়িয়ে একশন মুডে যাওয়া উচিত ।’।