এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৮ ডিসেম্বর : ফের বেকারদের চা-বিস্কুট ফেরি করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । পাশাপাশি এবারে “বউকে দিয়ে ঘুঘনি বানানো” র উপদেশও দিয়েছেন তিনি । একদিকে যখন মমতা ব্যানার্জির সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারনে হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়ে পথে বসেছেন,তখন তার এহেন উপদেশকে “কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে” হিসাবে দেখছেন তারা ।
গতকাল মমতা ব্যানার্জি বলেন,’ভাই,যখন কিছু নেই, এক হাজার টাকা নাও । দুটো চায়ের কেটলি কেনো । ঘর থেকে চা তৈরি করে আনো । আর বিস্কুট নাও । বউকে দিয়ে ঘুগনি তৈরি করে আনো । প্লাটফর্মে গিয়ে দাঁড়াও । বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়াও । এই টাকা তোমার কতদিনে কতটাকায় গিয়ে দাঁড়ায় ।’ উদাহরণ স্বরূপ মমতা জানান যে আজও তিনি নাকি নিজের বিছানা নিজে তোলেন ।
এদিকে মমতার এই প্রকার দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে ক্ষোভে ফুসছেন বেকার যুবক যুবতীরা । পাশাপাশি বিজেপিও মমতাকে নিশানা করতে ছাড়েনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির যুবমোর্চার সহ-সভাপতি ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বাংলার ছেলে-মেয়েদের উপদেশ দিয়েছেন—চা আর ঘুগনি বিক্রি করো।খুব ভালো কথা।কিন্তু একটা সরল প্রশ্ন—ওনার পরিবারের কোন সদস্য চা বা ঘুগনি বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন? বাংলার সাধারণ ছেলে-মেয়েরা কেন চা–ঘুগনি বিক্রি করবে?
ওরা তো বরং সেই কাজটাই করবে,যে কাজ করে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার কোটিপতি হয়েছে।তাই আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে একটা বিনীত অনুরোধ—আপনি দয়া করে আপনার ভাইপোর কাছ থেকে “কোটিপতি হওয়ার নিনজা টেকনিক”আর আপনার ভাতৃবধূর কাছ থেকে “সমাজসেবা করে কোটিপতি হওয়ার ফর্মুলা” শিখে নিয়ে সেটা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দিন।তাহলে আর কেউ চাকরি চাইবে না,কেউ পরীক্ষায় বসবে না,কেউ মেধা, পরিশ্রম, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববে না। সবাই সরাসরি কোটিপতি হওয়ার শর্টকাট কোর্সে ভর্তি হয়ে যাবে।বাংলার যুবসমাজ বোকা নয়,তারা উপদেশ নয়—উদাহরণ চায়।’।

