এইদিন ওয়েবডেস্ক,দিঘা(পূর্ব মেদিনীপুর),২৭ জুন : প্রথমবারের মত দিঘায় রথযাত্রার আয়োজন করা হল দিঘায় । আগের দিন থেকেই শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে দিঘায় ঘাঁটি গেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । নির্ধারিত সময় মেনেই দুপুর আড়াইটে নাগাদ দিঘার রথের রশিতে টান পড়ে। রথের সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটেন মমতা ব্যানার্জি । সঙ্গে ছিলেন ইসকনের দু’একজন “পেটোয়া” সদস্য । রীতি মেনে সোনার ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেওয়া ও নারকেল ফাটিয়ে রণযাত্রার সূচনা করা হয়৷ কিন্তু পরপর দু’টো নারকেল ডান হাত দিয়ে রাস্তায় সজোরে আছাড় দিয়েও ফাটাতে পারেননি মমতা । পরে ইসকনের এক সদস্য সেগুলি ফাটান । পাশাপাশি দিঘার রথের চাকা আটকে গেছে বলেও দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি মমতার নারকেল ফাটানো ও রথের টানের মুহুর্তের ভিডিও এক্স-এ পোস্ট করেছেন ।
মুখ্যমন্ত্রীর নারকেল ফাটানোর মুহুর্তের ভিডিওতে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন,’হিন্দু ধর্মীয় পূজা অনুষ্ঠানে নারকেল ফাটানোর মাহাত্ম্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গভীর তাৎপর্য বহন করে। নারকেল ঈশ্বরের কাছে একটি পবিত্র নৈবেদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি ভাঙার মাধ্যমে ভক্ত তার সম্পূর্ণ সমর্পণ ও ভক্তি প্রকাশ করে। এটি ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধার প্রতীক।
হিন্দু সংস্কৃতিতে নারকেল ফাটানো কেবল একটি আচার নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক জাগরণ, শুদ্ধি ও ঈশ্বরের প্রতি সমর্পণের প্রতীক। যিনি দাবি করেন যে প্রতিদিন পুজো করেন, তিনি নারকেল ভাঙ্গার পদ্ধতি জানেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আজকের নারকেল ফাটানোটা দেখে মনে হচ্ছে উনি নারকেল ফাটাতে অভ্যস্ত নন, বল ছুড়তে অভ্যস্ত, তাই সেই রকম প্রচেষ্টা করলেন !’
রথের চাকা আটকে যাওয়ার দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’ভগবান সর্ব শক্তিমান । মহাকুম্ভ কে “মৃত্যু কুম্ভ”, সনাতন ধর্ম কে ‘গন্দা’ (নোংরা) ধর্ম বলা, ‘জয় শ্রী রাম’ কে ‘গালাগাল’ বলে উল্লেখ করা, সর্বশেষে তীর্থ ক্ষেত্রের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে ধর্ম বিরুদ্ধ আচরণ করা, যেমন মিষ্টি কে প্রসাদ বলে চালানো, ধর্মীয় বিধি না মেনে তৈরি করানো ইত্যাদি করলে ভগবানের রোষ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই রথের চাকা আটকে গেলো, লক্ষণ কিন্তু ভালো নয় ।’ এর আগে দিঘার রণযাত্রাকে মমতা ব্যানার্জির ‘ফ্লপ শো’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী ।।