এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর চব্বিশ পরগনা,৩০ নভেম্বর : বুধবার দুপুরে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার খাঁপুকুরে এক গ্রামবাসীর বাড়িতে ট্যাংরা মাছের ঝাল আর আলু ওলের তরকারি দিয়ে ভাত খেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এলাকা পরিদর্শনের জন্য এদিন উত্তর ২৪ পরগনার টাকিসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে চকখাঁপুকুর এফপি স্কুলে ঢুকে পড়েন তিনি । পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে তিনি কথা বলেন । এরপর এক গ্রামবাসীর বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে মধ্যাহ্নভোজ সারতে দেখা যায় তাঁকে ।
বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন,’গ্রাম বাংলার সাথে আমার নাড়ির বন্ধন অচ্ছেদ্য গ্রন্থিতে আবদ্ধ। আজ উত্তর ২৪ পরগনা সফরে সেই বন্ধন আরও সুদৃঢ় হল। বাংলার মানুষ পরিচিত অতিথি-বৎসল হিসাবে, আজ এই জেলার খাঁপুকুরে আবারও সেই অভিজ্ঞতা হল। এক স্থানীয় বাসিন্দাকে আমি জিজ্ঞাসা করি, “আপনারা কী খাচ্ছেন?” তাঁরা জবাব দেন, ভাত, ট্যাংরা মাছের ঝাল আর আলু ওলের তরকারি । আমিও মহানন্দে তাঁদের সাথে বসে পড়ি মধ্যাহ্নভোজে। তাঁরা আমাকে চামচ এগিয়ে দেন ভাত খেতে, আমি বলি, “আমি তো চামচে খাই না, আপনাদের মতোন হাত দিয়েই খাই।” সেইসময় সবার আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দেখে আমার মনে হয় আমি তাঁদের পরিবারেরই একজন। গ্রামের বাড়ির দাওয়ায় বসে প্রাণের আলাপচারিতার সাথে এই খাবারের স্বাদ যেন অমৃতসম। পাশাপাশি তাঁদের সাথে হাত লাগলাম ঝাঁটা বোনায়। তাঁদের শিল্পসত্তা দেখে আমি মুগ্ধ।
পাশাপাশি তিনি লিখেছেন,’আজ এখানকার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গেও অন্তরঙ্গ বার্তালাপ হয়, সবার মধ্যে বিতরণ করা হয় শীতবস্ত্র। টাকি গভর্নমেন্ট কলেজের নতুন বিল্ডিং-এর জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম-ই বাংলার আলোর দিশারী – আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী তাঁদের অধ্যবসায়, প্রতিভা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বাংলা’কে নিয়ে যাবে এক অনন্য উচ্চতায় ।’ পরিশেষে তিনি লেখেন,’বাংলা আমাদের গর্ব, রাজ্যবাসী আমার প্রাণের দোসর। প্রশাসনিক ব্যস্ততার ফাঁকে এইসব দিনযাপন-ই আমার চরৈবেতি মন্ত্র। মানুষের ভালোবাসাই রাজ্যের উন্নয়নে আমৃত্যু অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেতে আমায় প্রেরণা জোগাবে ।’।