শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৩ নভেম্বর : গভীর রাতে পোলট্রি ফার্ম থেকে একের পর এক মুরগি চুরির ঘটনা ঘটছিল । কিছুতেই চোরের হদিশ করতে পারছিলেন না পোলট্রি ফার্ম মালিক । শেষে তিনি স্থানীয় আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা জনৈক এক ব্যক্তির কাছে ঘটনার কথা খুলে বলেন । ফার্ম মালিকের সব কথা শুনে অভিজ্ঞ ওই আদিবাসী ব্যক্তি বুঝে যান এটা কোনও মানুষের কাজ নয় । তিনি চোরকে ধরতে রাতের অন্ধকারে পোলট্রি ফার্ম চত্বরে পেতে রাখেন বিশেষ ফাঁদ । টোপ হিসাবে ব্যাবহার করেন দুটি পোলট্রির মুর্গি । আর ওই মুরগির লোভেই শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় ‘মুরগি চোর’ বাঘরোল । ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার এড়াচিয়া গ্রামের । যদিও পরে খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা এসে খাঁচাসহ বাঘরোলটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।
জানা গেছে,এড়াচিয়া গ্রামের মাঠের মাঝে রয়েছে দত্তপুকুর নামে একটি জলাশয় । ওই জলাশয়ের পাড়েই পোলট্রি ফার্ম রয়েছে এড়াচিয়া গ্রামের বাসিন্দা জনৈক এক ব্যক্তির । তিনি জানান, তিনি রাতের দিকে ফার্মে তালাচাবি লাগিয়ে বাড়ি চলে যান । ফের সকালে আসেন । বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি লক্ষ্য করছেন তাঁর ফার্ম থেকে দু’চারটি করে মুরগি গায়েব হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু কে মুরগি চুরি করছে কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না । এদিকে তাঁকে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছিল । তাই শেষে তিনি স্থানীয় আদিবাসী পাড়ার লোকজনের শরনাপন্ন হন । তখন তাঁদের মধ্যে থেকে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি জানান এটা কোনও মানুষের কাজ নয় । শিয়াল জাতীয় কোনও প্রাণীর । শেষ পর্যন্ত তাঁর পরামর্শে ও সহযোগিতায় সোমবার রাতে পোলট্রি ফার্মে চত্বরে একটি ফাঁদ পাতা হয় । আর তাতেই ধরা পড়ে ওই বাঘরোলটি ।
এদিকে হুবহু বাঘের মত দেখতে ওই প্রাণীটিকে দেখতে মঙ্গলবার সকালে ওই পোলট্রি ফার্মে প্রচুর ভিড় জমে যায় । পরে কোনও গ্রামবাসীদের কাছ থেকে বনদপ্তরের কর্মীরা এড়াচিয়া গ্রাম থেকে বাঘরোলটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় । বনদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে,বাঘরোলটি সুস্থই আছে । প্রাণীটিকে ইতিমধ্যে বর্ধমানের রমনাবাগানে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে । ওই খাঁচা দিয়ে বাঘরোল জাতীয় প্রাণী শিকার করা হত কিনা তদন্ত করে দেখছে বনদফতর ।।