প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ জানুয়ারি : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে অনিয়ম খুঁজতে বেরিয়ে উড়ালপুলের দাবীতে চলা বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার বেলায় এমনই ঘটনা ঘটে পূর্ব বর্ধমানের গলসির গলিগ্রামে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের। এখানকার বাসিন্দারা ও জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরেথ করে রেখে উড়ালপুলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । পথ অবরোধ বিক্ষোভে স্কুল পড়ুয়ারাও সামিল থাকে। আবরোধে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি প্রদ্যুম্ন কুমার কর ও মনোজ কুমার প্রতিনিধিরা খানিক টা পথ হেটে এগিয়ে যাওয়ার পর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে প্রায় ৫০ মিনিট বাদ বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয় । যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা তাঁদের গাড়িতে চেপে বুদবুদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যাবার সময়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি প্রদ্যুম্ন কুমার কর বলেন,’স্থানীয় কোন সমস্যার জন্য অবরোধ হয়েছে। এতে আমাদের কাজের কোন ক্ষতি হবে না ।’
পথ অবরোধ বিক্ষোভে এদিন গলিগ্রাম ছাড়াও উচ্চগ্রাম, বনসুজাপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অংশ নেয় । তাঁরা দাবি করেন,উড়ালপুলের দাবীতে গতবছর আগষ্ট মাস থেকে তাঁরা আন্দোলন করছেন। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তাদের দাবী কোনভাবেই মানছে না।গলিগ্রাম, উচ্চগ্রাম, বনসুজাপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল আছে। তাছাড়াও, গলিগ্রাম গুসকরা মোড়টি এলাকার একটি জংশন। ওই জায়গায় উড়ালপুল খুবই প্রয়োজন।এখানে প্রতিদিনই পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন স্থানীয়রা। বিগত দিনে বহু মানুষ পথ দুর্ঘটনায় মারাও গেছেন। এতকিছুর পরেও
উড়ালপুল তৈরির ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ
কোন হেলদোল দেখাচ্ছে না । তাই তাঁরা এদিন
জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছেন বলে বাসিন্দারা দাবি করেন।
এলাকার বাসিন্দা অসীম চক্রবর্তী বলেন,জাতীয় সড়কের গলিগ্রাম গুসকরা মোড় এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখানে প্রতিদিন চার পাঁচশো ছেলে মেয়ে রাস্তা পেরিয়ে স্কুল কলেজে পড়াশোনা করতে যায়। আগে এই জায়গায় রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে বহু মানুষ গাড়ির ধাক্কায় মারা গেছেন। তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তের বহু বার জানিয়েছেন। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন কাজ হয়নি। দাবীতে অনড় থেকে কয়েকবার সড়ক অবরোধও করেছেন। প্রশাসনের মৌখিক অনুরোধে তারা তা তুলে নেন। তবে প্রতিশ্রুতি এলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এদিকে বুধবারই আচমকা তারা জানতে পারেন গলিগ্রাম গুসকরা মোড়ে উড়ালপুল হচ্ছে না। ওইদিন তারা জাতীয় সড়ক সম্প্রাসারণের কাজ বন্ধ করে দিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারী দেন। দিনভোর পেরিয়ে গেলেও কোন সুরাহা না মেলায় বৃহস্পতিবার এলাকার স্কুল পড়ুয়া ও মহিলাদের নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তার উপরে বসে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা সমরেশ ঠাকুর বলেন, উড়ালপুল খুব প্রয়োজন। বারে তারা আবেদন করলেও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি ।।