এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৭ আগস্ট : দু’পাশের বিস্তীর্ণ এলাকার ধান জমির মধ্য দিয়ে চলে গেছে ক্যানেল । তবে ক্যানেলে জল নাই, শুকনো । এদিকে জলাভাবে ধান জমিগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে,জমিতে গজিয়েছে আগাছা । আজ রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ও আমারুনের মাঝে ধান জমিতে এমনই চিত্র দেখা গেলো । তবে শুধু ওই এলাকা নয়, ভাতার ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার ধান জমি বেশ কিছুদিন ধরে সেচ সঙ্কটে ভুগছে । স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, সপ্তাহ দুয়েক ধরে তারা ক্যানেলে জল ছাড়ার জন্য লাগাতার আবেদন করে যাচ্ছেন, কিন্তু কোনো হেলদোল নেই সেচ দপ্তর ও প্রশাসনের । সম্ভাব্য বিপুল পরিমাণ ক্ষতির কথা ভেবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভাতারের কৃষকরা ।
জানা গেছে,ভাতার,আমারুন ছাড়াও আড়া, এওড়া, শুনুর, ঘুঘিয়া, নওদা, এড়াচিয়া, বেলেণ্ডা,বালসিডাঙ্গা, পালাড়, রামনগর,রাধানগর হাড়গ্রামসহ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচের জলের জন্য কার্যত হাহাকার পরে গেছে । ধানচারার বৃদ্ধির ঠিক মুখেই শত শত একর জমিতে জলাভাবে শুকিয়ে ফাটল দেখা দেওয়ায় বিপুল পরিমান ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা । সব থেকে অবাক করার মত বিষয় হলো যে ভাতারের ওইসমস্ত এলাকার কৃষিজমিতে ডিভিসির ১১ এ এবং ১১ বিসি শাখা ক্যানেল চলে গেছে । কিন্তু ক্যামেল দুটি শুকনো । এমনকি, ক্যানেলে এই পরিমাণও জল নেই যে সেখান থেকে মেশিনে করে পাশের জমিগুলোতে সেচ দেওয়া যায় ।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বর্ষার ভারী বর্ষণ হয়ে গেছে । বহু এলাকার ধান জমির প্লাবিতও হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু তার কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা দিয়েছে সেচ সংকট । তবে সেচ দফতরের বর্ধমান সাবডিভিশন ৩ এর আধিকারিক সামিম আহমেদের কথায়,অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে চাষিদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসন থেকে কিছুদিন পর জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তাই এবছর ক্যানেলে জল পেতে দেরি হল । তিনি অবশ্য এটাও বলেছেন যে গত শুক্রবার থেকে ডিভিসির জল ছাড়া হয়েছে । এই মুহুর্তে গলসি এলাকায় জল পৌছে গেছে । তার আশা যে দু’একদিনের মধ্যেই ভাতার এলাকার ক্যানেলে জল পৌঁছে যাবে ।
এদিকে স্থানীয় কৃষকরা বলছেন,’প্রায় দুসপ্তাহ ধরেই সেচের জল নেই । শয়ে শয়ে বিঘা ধানজমি শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে ঘাস গজাচ্ছে । জলাভাবে নিরেন করাও যাচ্ছে না । বারবার সেচ দপ্তরে ছুটে গেছি । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যাওয়ার জন্য সেচবিভাগের কর্মীদের বহু অনুনয় বিনয় করেছি । কিন্তু কোনো হেলদোল নেই ।’ এবারের আমন চাষে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।।