এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ ডিসেম্বর : বিধানসভার ভোটের ঠিক আগেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য ফের একটা সুসংবাদ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সিঙ্গেল বেঞ্চের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের রায় খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ তৃণমূলের জন্য প্রথম সুসংবাদ দিয়েছিল । এবারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম মূল আসামি ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে দ্বিতীয় সুসংবাদ দিলেব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ । এর আগে সুজয়কৃষ্ণকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল আদালত।
তবে বিচারপতি কিছু শর্ত আরোপ করেছেন । সেই সমস্ত শর্তগুলি হল : সুজয়কৃষ্ণ কলকাতার বাইরে বেরোতে পারবেন না । তাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে। তাঁর মোবাইল নম্বর তদন্তকারী আধিকারিক এবং আদালতের কাছে জমা রাখতে হবে। এই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি বিকৃত করতে পারবেন না তিনি। এই সব শর্ত না মানলে সুজয়কৃষ্ণের জামিন বাতিল করতে পারবে নিম্ন আদালত।
প্রসঙ্গত,শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন এই ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । ২০২৩ সালের ৩০ মে প্রথমে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি । ২০২৪ সালে তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখায় সিবিআই। এর আগে ইডি-র মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। সিবিআইয়ের মামলায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি। তবে আদালতের নির্দেশ ছিল, সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে নজরদারির জন্য সাদা পোশাকের কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ান মোতায়েন করতে পারবে সিবিআই।অন্তর্বর্তী জামিনের শর্ত হিসাবে, গত দশ মাস ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে বেহালার বাড়িতে ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। বাড়ি এবং হাসপাতাল ছাড়া তিনি কোথাও যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছিল। তবে এবার সিবিআই মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন তিনি।।

