এইদিন ওয়েবডেস্ক,জামুড়িয়া(পশ্চিম বর্ধমান),১৮ সেপ্টেম্বর : বিয়ের প্রায় ৬ মাসের মধ্যেই এক অন্তসত্ত্বা গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়ার পড়াশিয়া ইসিএল আবাসনে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সোনী রাউত(২০) । খবর পেয়ে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে । পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । বধুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন । পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
জানা গেছে,বিহারের জামুই জেলার বারহাট থানার লাকরা গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জন মণ্ডলের মেয়ে সোনী । চলতি বছরের মার্চ মাসে একই জেলার তেতারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত যদুনন্দন রাউতের ছেলে পিন্টুর (২৫) সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকেই কর্মসুত্রে স্ত্রীকে নিয়ে জামুড়িয়ার পড়াশিয়ায় ইসিএল আবাসনে থাকতেন পিন্টু । মৃতার বাবা রঞ্জন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘বিয়ের পর থেকেই টাকা আনার জন্য মেয়ের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ের কথা ভেবে আমি একাধিকবার তিনি টাকাও দিয়েছি । বর্তমানে মেয়ে অন্তসত্ত্বা ছিল ।’ বাবার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত পন আনতে অস্বীকার করার জন্যই মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রঞ্জনবাবু ।
তিনি জানান,শনিবার সকাল প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে । খবর পেতেই তিনি পরিবারের অনান্যদের সঙ্গে নিয়ে পড়াশিয়ায় ইসিএল আবাসনে আসেন । তাঁরা সোনীকে একটি ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান । জানা গেছে,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ । পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় । শেষে বারাবনির বিডিও তথা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুরজিৎ ঘোষ দেহ পরীক্ষা করার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।।