এইদিন ওয়েবডেস্ক,চন্দ্রকোনা(পশ্চিম মেদিনীপুর),১৮ জুলাই : বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে এক গৃহবধুর ধর্ণাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় । চন্দ্রকোনারই হাটপুকুরের বাসিন্দা সালমা খাতুনের দাবি বিয়ের আগে থেকে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই পৌর এলাকার কাশীগঞ্জের বাসিন্দা সেনাকর্মী মুজিবর চৌধুরীর । প্রেমিকের কথামত স্বামীকেও তিনি ছেড়ে এসেছেন । এখন সে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ গৃহবধু সালমা খাতুনের ।
দেখা গেল গলায় একটা প্লাকার্ড ঝুলিয়ে কাশীগঞ্জে প্রেমিক মুজিবর চৌধুরীর বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন সালমা খাতুন । প্লাকার্ডে লেখা, ‘আমি মুজিবরকে বিয়ে করতে চাই। অন্যায়ের প্রতিবাদ চাই। মুজিবরের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। যতক্ষণ না মুজিবর আমায় বিবাহ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত ধরনা চলবে ।’
সালমা খাতুন জানান,মুজিবরের সঙ্গে তাঁর প্রায় আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক । পরিবার জোর করে বিয়ে দেওয়ার পরেও তাঁর সঙ্গে গোপনে সহবাস করে গেছে মুজিবর । স্বামীকে ছেড়ে এলে সে বিয়ে করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল । এমনকি বিয়ের নাম করে তাঁর কাছ থেকে মুজিবর নগদ আড়াই লক্ষ টাকা এবং ৬ ভরি সোনার গয়নাও হাতিয়েছেন । গৃহবধুর অভিযোগ স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে আসার পর একদিন বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার অছিলায় মুজিবর তাকে চলন্ত বাইক থেকে ফেলে খুনের চেষ্টাও পর্যন্ত করেছিল ।
অন্যদিকে মুজিবরের পরিবারের দাবি,ওই মহিলার একটি সন্তান রয়েছে । সেটা গোপন করে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুজিবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিল । মহিলা অনেক টাকাপয়সাও নিয়েছে মুজিবরের কাছ থেকে । এখন সে মুজিবরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে । তবে মুজিবরের পরিবারের যাই দাবি করুন না কেন ধর্ণায় বসা সালমা খাতুন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,তাঁকে স্ত্রীর অধিকার দিতে হবে । অন্যথায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন ।।