প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৩ জুন : করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে বাবার সঙ্গে কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিল ছেলে । যাবার সময় বছর ১৮ বয়সী ছেলে ছোট্টু সর্দার তাঁর মাকে বলে যায় কেরল থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে সে পাকা বাড়ি তৈরি করবে । কিন্তু ছোট্টুর আর বাড়ি ফেরা হল না। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা সুকলাল সর্দার জখম হয়ে প্রাণে বেঁচে থাকলেূও ছেলে ছোট্ট সর্দার অকালেই প্রাণ হারায়। এই খবর শনিবার সকালে বাড়িতে পৌছাতে শোকে বিহ্বল হয়ো পড়েছেন পরিবার সদস্যরা।
ছোট্টু সর্দার দের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার করুই গ্রামে। পরিবারের লোকজনের কথায় জানা গিয়েছে, সুকলাল সর্দার দীর্ঘদিন ধরে কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সংসারের একটু বেশি উপার্জনের আশায় এই বার প্রথম তিনি তাঁর ছেলে ছোট্টু সর্দারকে সঙ্গে করে কেরালায় নিয়ে যাচ্ছিলেন রাজমিস্ত্রির কাজ করানোর জন্য। পরিবার সদস্যদের কথাও এও জানা যায়,সুকলাল সর্দার ও তাঁর ছেলে ছাড়াও করুই গ্রামের আরূ দশ – বারো জন এক সাথে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করার জন্য কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল।
বছর চল্লিশের সঞ্জয় সর্দার, বছর আঠারোর ছোট্টু সর্দার, বছর ৩৮ এর সুকলাল সর্দার, ৩৬ বছর বয়সী সৃষ্টি রায়, ২৭ বছর বয়সী সমির রায় এরা সকলেই শুক্রবার বেলা ৩ টের সময় শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন ধরেন।পথ ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ৩৮ বছর বয়সী সুকলাল সর্দার ও ২৭ বছর বয়সী সমীর রায় গুরুতর জখম অবস্থায় এখন ওড়িশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । বাকিদের মধ্যে সঞ্জয় সর্দার, সৃষ্টি রায়ের এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। ছোট্টু সর্দারের বাবা বাড়িতে ফোন ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলে ছোট্টু মারা যাওয়ার কথা জানান। সেই খবর পবার পর থেকে বাড়ির সবাই শুধু কেঁদেই চলেছেন। গোটা করুই গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।।