প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৩ নভেম্বর : বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের লহরে থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শাস্তির কোপে পড়লেন ১২ নিরাপত্তাকর্মী।মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের লহরে উদ্ধার হয় এক যুবতীর মৃতদেহ।বর্ধমান থানার পুলিশ ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেলেও প্রহরীদের নজর এড়িয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ওই মহিলা কি ভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেন তার উত্তর খোঁজা শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।তার পরেই ১২ জন অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীকে আপাতত কাজ থেকে বসিয়ে দিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
এপ্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: গৌতম চন্দ্র
বৃহস্পতিবার বলেন ,পুলিশ তদন্তে যা বেরোবার বেরোবে। তবে তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আমরাও খতিয়ে দেখতে চেয়েছি কর্তব্যে কোনো গাফিলতি ছিল কী না। তাই একটা ’বার্তা’ দেবার জন্য বুধবার ১২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে ’সাসপেণ্ড’ করা হয়েছে। ওরা খুবই কম মাইনে পান। তবে একটি ভাইরাল ভিডিওতে এক মহিলাকে ক্যাম্পাস চত্বরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এই ছবির সাথে মূল ঘটনার কোনো সংযোগ না থাকলেও একটা বার্তা দিতে এই পদক্ষেপ নিতে হল বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের লহর থেকে যে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।মঙ্গলবার সকালে গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের লহরে হঠাৎই ওই যুবতীর দেহ ভাসতে দেখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।এরপরেই বর্ধমান থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ওই দিন
উপাচার্য জানিয়েছিলেন,যে যুবতীর মৃতদেহ উদ্দার হয়েছে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী বা পড়ুয়া কেউ নন।তবুও কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তার রহস্য পুলিশি তদন্তে এখনও উন্মোচন হওয়া বাকি রয়েছে। তারই মধ্যে পদক্ষেপ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে আধিকারিক,অধ্যাপক থেকে কর্মচারীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে,’ যাঁরা শাস্তির কোপে পড়লেন তাঁরা
সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অপারেটিভের মাধ্যমেই তাদের নিয়োগ করা হয়’।অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি কর্মচারি সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।তবে মানবিকতার খাতিরে এই নিরাপত্তাকর্মীদের ভুল শুধরে আরো একবার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্যের কাছে অনুরোধ জানাবেন বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে কোন রকম আপোষ করা হবে না।।