এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাঠমান্ডু,১৭ জুলাই : নেপালের চিতওয়ানের ভরতপুর মেট্রোপলিটন সিটি-২৯-এর অধীনে নারায়ণগড়-মুগলিন সড়কের সিমলতাল থেকে ত্রিশুলিতে পড়ে যাওয়া বাসের যাত্রীদের মধ্যে ১৭ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী জানায়, এযাবৎ ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে এবং গত শুক্রবার ভূমিধসের পর ত্রিশূলী নদীতে নিখোঁজ হওয়া দুটি বাসের যাত্রীদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি এবং বাকিদের সন্ধান চলছে।
নিহতদের নাম, ভারতের ঋষিপাল সাহ, চিতওয়ান মাদির বিকাশ পারিয়ার, সরলাহির রমিত কুশার মাঝি, ভারতের জয়প্রকাশ ঠাকুর, ভারতের সাজাদ আনসারি, চিতওয়ান ভরতপুরের সুদীপ ভিক, রাউতাহাটের ফিরোজ রাহুপামিয়া, বড়ার পরমানন্দ পণ্ডিত এবং চন্দ্রপুরের কিশোর কুমার চৌধুরী প্রভৃতিদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত শুক্রবার সকালে ভরতপুর মেট্রোপলিটন সিটি-২৯ নারায়ণগড় মাগলিং রোড সেকশনের সিমলতাল নামক স্থানে বীরগঞ্জ থেকে কাঠমান্ডুর দিকে আসা এঞ্জেল ডিলাক্স বাস নং ০৩-০০৬ বিএইচ ১৫১৬ এবং কাঠমান্ডু থেকে আসা গণপতি ডিলাক্স ০৩-০০১ বিএইচ ২৪৯৫ নম্বর বাস ত্রিশূলী নদীতে ভূমিধসের পর উলটে পড়ে । গৌড় অ্যাঞ্জেল ডিলাক্সে ৩৮ জন যাত্রী এবং গণপতি ডিলাক্সে ২৭ জন যাত্রী ছিল। বাসে থাকা রাউতাহাটের নন্দন দাস, যুগেশ্বর যাদব এবং সরোজ কুমার গুপ্তা লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন।।