দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৬ নভেম্বর : সপ্তাহ দুয়েক আগে তামিলনাড়ুতে ধান রোয়ানোর কাজে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কুলনগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা ১৫ জন খেতমজুরের একটি দল । দিন দুয়েক পর সেখানে মাঠে কাজ করার সময় সোনামণি সোরেন (৩২) নামে এক বধূকে বিষধর সাপে কামড়ায় । তামিলনাড়ুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় । কিন্তু মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে গিয়ে অতান্তরে পড়েছিল মৃত বধুর হতদরিদ্র পরিবারটি । বিষয়টি দলেত স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে শোনার পর বধুর মৃতদেহ ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া ।
জানা গেছে,মৃতা সোনামণি সোরেনের বাড়িতে রয়েছেন স্বামী, দুই সন্তান, বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি । অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবার । সোনামণি ও তাঁর স্বামী মিলে খেতমজুরের কাজ করে অতিকষ্টে সংসার চালাতেন । রবিবার মৃতার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তিনি কুলনগর গ্রামে আদিবাসীপাড়ায় এসেছিলেন ৷ বিজেপি সাংসদ আশ্বাস দেন সাপের কামড়ে মৃত্যুর জন্য সরকারিভাবে যে বিমার সুযোগ আছে তা যাতে নিহতের পরিবার পায় তার ব্যবস্থা করবেন । এছাড়া মৃতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খরচ এবং তাঁর দুই সন্তান রাহুল সোরেন ও পল্লবী সোরেনের লেখাপড়ার খরচও বহন করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে যান এসএস আলুওয়ালিয়া ।
তবে ভিন রাজ্যে এভাবে একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে দুষলেন বিজেপি সাংসদ ৷ তিনি বলেন,’পূর্ব বর্ধমান হল শষ্যগোলা । আগে এখানে ধান কাটা বা রোয়ানের কাজে আসত ভিন রাজ্যের শ্রমিক । আর এখন পেটের তাগিদে এখানকার মানুষকে ভিন রাজ্যে কাজে যেতে হচ্ছে । এটা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ।’ তবে একশ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে নালিশ শুনতে হয় বিজেপি সাংসদকে ।।