এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া,২৭ ডিসেম্বর : পরপর দু’দিন দলের তিন হেভিওয়েট নেতার জনসভা । প্রথম দিন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী,দ্বিতীয় দিন মুকুল রায় । তার উপর যোগদান মেলায় অসংখ্য মানুষের দলে যোগদান পর্ব । তারপর থেকে কার্যত ‘চার্জড’ অবস্থায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার বিজেপি নেতৃত্ব । বেড়েছে প্রচারের ঝাঁঝ । বিভিন্ন কর্মসূচিকে সামনে রেখে জনসংযোগের পাশাপাশি শাসকদলের উপর তীব্র আক্রমন শানাচ্ছেন বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ ও তাঁর এলাকার বিভিন্ন মন্ডলের নেতৃত্ব ।
শনিবার তারই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া গেল কাটোয়া-২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েত এলাকায় । ওই দিন ৪৩ নম্বর মন্ডলের সিঙ্গী গ্রামের ২৭৮ বুথে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করলেন কৃষ্ণ ঘোষ ও মন্ডল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষসহ জেলা ও ব্লকের বেশ কিছু নেতা । পাশাপাশি গাজীপুর, সিঙ্গী প্রভৃতি পঞ্চায়েত এলাকার বরিষ্ঠ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আগামী নির্বাচনের রননীতি নিয়ে আলোচনা করেন জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ । পরে সন্ধ্যার দিকে অগ্রদ্বীপ গ্রামে ‘আর নয় অন্যায়’ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় । ওই সভায় কৃষ্ণ ঘোষসহ অনান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন ।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অগ্রদ্বীপে ভাগীরথীর ভাঙন ও গ্রামের রাস্তা নিয়ে তৃণমূল শাসিত অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতকে কার্যত তুলোধোনা করেন কৃষ্ণবাবু । তাঁর কথায়, ‘অগ্রদ্বীপের মানুষ সর্বদা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন কখন তাঁদের ঘরবাড়ি ভাগীরথী গ্রাস করে নেয় । ন’বছর পঞ্চায়েতের কার্যকাল হল অথচ আজও নদীর ভাঙন রোধ ও অগ্রদ্বীপের বেহাল রাস্তা নির্মানের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হল না। অথচ ভোটের সময় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইতে যায়।’
সেই সঙ্গে তিনি বলেন,’কয়েকদিন আগে কালনায় ১২ বছরের একটা বাচ্ছা মেয়েকে তৃণমূলের লোকজন ধর্ষন করল আর ঠিক তার পরেই পুলিশ মেয়েটির বাড়িতে পৌঁছে গেল যাতে মেয়েটির মা থানায় এসে কোনও এফআইআর না করতে পারে । এটাই বাংলার গনতন্ত্র । বাংলায় থাকতে গেলে চুপচাপ সব দেখতে হবে প্রতিবাদ করা চলবে না ।’ পাশাপাশি আবাস যোজনা,রেশন সামগ্রীসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শাসকদলকে এক হাত নেন কৃষ্ণবাবু ৷।