এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১২ ডিসেম্বর : নিজের প্রকৃত পরিচয় দুর্গাপুরের এক হিন্দু নার্সকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার সিভিক ভলান্টিয়ার মহম্মদ আজাহার হোসেন । বিজেপির অভিযোগ যে এটা পরিকল্পিত “লাভ জিহাদ”৷ এই প্রকার কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশাসন ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আজ শুক্রবার কেতুগ্রাম থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি । পাশাপাশি তারা আরও কিছু দাবিতে কেতুগ্রাম থানার আইসির কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয় ।
উল্লেখ্য,’সুমন মণ্ডল’ নামে ও পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল খুলেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার আজাহার হোসেন। ওই ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বাসিন্দা পেশায় নার্স এক হিন্দু তরুনীর সঙ্গে সে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে । গতসপ্তাহে তিনি বর্ধমান মহিলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে জানান যে,’সুমন মণ্ডল’ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল। তিনি সেটি গ্রহন করেন । তারপর ফেসবুকে কথপোকথনে ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ অফিসার হিসাবে পরিচয় দেয় । মাসিক বেতন ৭৮ হাজার টাকা দাবি করে । পুলিশ লেখা বাইক নিয়েও তার সাথে দেখা করতে দুর্গাপুরে আসত । যেকারণে তার উপর বিশ্বাস জমে যায় । ক্রমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গাঢ় হয় । নির্যাতিতার অভিযোগ,তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই যুবক । তারপর হুগলির চন্দননগরের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে সে । সেখানেই ওই তরুনী আজাহার হোসেনের প্রকৃত পরিচয় জানতে পারেন ।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে মহম্মদ আজাহার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ বিজেপির অভিযোগ যে কেতুগ্রাম থানার পুলিশের একাংশের ওই লাভ জিহাদি দুদিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে গেছে । বিষয়টি নিয়ে তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন । পাশাপাশি কেতুগ্রাম থানায় স্থানীয় এক আইনজীবীর ‘দাদাগিরি’ বন্ধ করা, বেআইনি বালি পাচার বন্ধ করা এবং এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস বন্ধ করার দাবি জানায় বিজেপি ৷।
