এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া সুরক্ষায় কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রদর্শিত হল “দ্য বেঙ্গল ফাইলস”। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “খোলা হাওয়া”র উদ্যোগে আজ শনিবার(১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে জাতীয় গ্রন্থাগারের ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভাষা ভবনে প্রদর্শিত হচ্ছে এই ছবিটি ৷ তবে কেবলমাত্র আমন্ত্রিতরাই ছবিটি দেখার সুযোগ পেয়েছেন । এদিকে ছবিটি ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রদর্শনের আগেই গতকাল কলকাতায় চলে আসেন ছবিটির পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী । তিনি ন্যাশনাল লাইব্রেরির দর্শক আসনের মাঝে দু’হাত প্রসারিত করে তোলা ছবি এক্স-এ পোস্ট করেছেন। রাজ্যের মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অঘোষিত নিষেধাজ্ঞাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “সত্যকে চেপে রাখা যায়না” ।
বিবেক অগ্নিহোত্রী লিখেছেন,’খোলা হাওয়া (ওপেন ব্রীজ) -এর জন্য সাধুবাদ। সাহসিকতার সাথে কলকাতায় দ্য বেঙ্গল ফাইলস-এর এই বিশেষ প্রিমিয়ার আয়োজনের জন্য। এটি ‘কুইন অফ হার্টস’ এবং তার দলের প্রতি প্রকৃত অসম্মান, যারা পশ্চিমবঙ্গে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবির উপর অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সত্যকে চুপ করানো যাবে না। ইতিহাসকে সামনে আনা হবেই । লক্ষ লক্ষ মানুষের কণ্ঠস্বর নিঃশব্দ করা যাবে না – বাংলা তার নিজস্ব গল্প জানার যোগ্য। খোলা হাওয়া ইন্ডিয়া টিমকে ধন্যবাদ।’
দ্য বেঙ্গল ফাইলস বিবেক অগ্নিহোত্রীর উচ্চাকাঙ্ক্ষী ফাইলস ট্রিলজির সমাপ্তি ঘটায়, যা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত দ্য তাসখন্দ ফাইলস (২০১৯) দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং দ্য কাশ্মীর ফাইলস (২০২২) দিয়ে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তৃতীয় ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এ মিঠুন চক্রবর্তী, শাশ্বত চ্যাটার্জী, অনুপম খের, প্রিয়াংশু চ্যাটার্জী এবং দর্শন কুমার প্রভৃতি তারকারা অভিনয় করেছেন । ছবিটি ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট থেকে ৩ দিন ধরে কলকাতা ও ওই বছর বাংলাদেশের নোয়াখালীতে কয়েক মাস ধরে চলা হিন্দু নরসংহারের সত্য কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত একটি তথ্যনিষ্ট ছবি । কিন্তু ছবিটির বিরোধিতা করছে বামপন্থী, তৃণমূল কংগ্রেসের মত তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি । তাদের দাবি, ছবিটি পশ্চিমবঙ্গে প্রদর্শিত হলে নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হবে । গত ১৬ আগস্ট কলকাতার বাইপাসের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ছবিটির ট্রেলার লঞ্চ পুলিশকে দিয়ে আটকে দিয়েছিল শাসকদল। পরে ছবিটি ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলে এরাজ্যের কোনো সিনেমা হলে ছবিটি প্রদর্শিত হয়নি । পরিচালকের অভিযোগ, শাসকদল পুলিশকে দিয়ে ফোনে সিনেমাহল মালিক ও ম্যানেজারদের হুমকি দেওয়া করিয়েছিল । সেই ভয়েই কোনো হল মালিক ছবিটি প্রদর্শন করেনি ।।