• Blog
  • Home
  • Privacy Policy
Eidin-Bengali News Portal
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
Eidin-Bengali News Portal
No Result
View All Result

হুমায়ুন কবিরের উত্থানে মমতার গদিচ্যুতি ও বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখে আতঙ্কিত বাংলাদেশের মিডিয়া 

Eidin by Eidin
December 26, 2025
in রকমারি খবর
হুমায়ুন কবিরের উত্থানে মমতার গদিচ্যুতি ও বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখে আতঙ্কিত বাংলাদেশের মিডিয়া 
4
SHARES
50
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Whatsapp

মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবির রাজ্যের শাসকদলের রাজনৈতিক সমীকরণ ওলটপালট করে দিয়েছেন । সিংহভাগ মুসলিম ভোট নিজের দিকে টেনে এবং তার সাথে কিছু শতাংশ হিন্দু ভোট জুড়ে দিয়ে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি । কিন্তু তার সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে বদলে দিয়েছে হুমায়ূন কবিরের উত্থান । রাজ্যে মুসলিম ভোট মেরুকরণের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে হুমায়ূন কবির,নওশাদ সিদ্দিকি ও আসাউদ্দিন ওয়াসির সম্ভাব্য জোট ৷ 

অন্যদিকে হিন্দুভোটের সিংহভাগই নিজের দলের দিকে টানতে সমর্থ হয়েছেন ভারতীয় রাজনীতিতে “হিন্দুত্ববাদের নতুন ব্রান্ড” হিসাবে আবির্ভূত হওয়া পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বিগত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে শাসকদলের সঙ্গে বিজেপির ভোটের পার্থক্য ছিল প্রায় ৪০ লক্ষ । আর মাত্র ৫-৭ শতাংশ হিন্দু ভোটকে বিজেপির দিকে টানার কথা বারবার বলে আসছেন তিনি । তবে তার এই কাজটা সহজ করে দিয়েছে রাজ্যে চলমান ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়া । বিপুল সংখ্যা “ভুতুড়ে ভোটার” এসআইআর-এ বাদ চলে যাওয়ার সম্ভাবনায় মমতার রাজনৈতিক সমীকরণ আরও জটিল করে তুলেছে । চলমান পরিস্থিতিতে মমতা ব্যানার্জি সম্ভাব্য ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় ঠিক কি পরিমান আশঙ্কিত তা তার শারিরী ভাষাতেই প্রমান মিলছে বলে মনে করছেন অনেকে । অন্যদিকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির চালিকা শক্তি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের ।  

২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের ফলাফল কি হবে তা আর মাস চারেক পরেই স্পষ্ট হবে ৷ তবে আরও একটা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনায় আতঙ্কের স্পষ্ট ছাপ দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে । কারন, ইসলামি রাষ্ট্র বাংলাদেশ চায় উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে “হিজরত” (এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন) করিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে মুসলিম অধ্যুষিত একটা রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলতে । আর এটা বাস্তবায়ন হলে ইসলামি চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি “গাজওয়াতুল হিন্দ” বা ভারতকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার পথ আরও প্রশস্ত হবে । কিন্তু বঙ্গে বিজেপির উত্থানে তাদের সেই গোপন অভিসন্ধির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে । 

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম মনে করছে যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের উপর । বাংলাদেশের “বিডি নিউজ ২৪ ডট কম” মনে করছে, “হুমায়ুন কবিরের নতুন রাজনৈতিক প্রকল্পের প্রভাব শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, ছায়া ফেলতে পারে বাংলাদেশেও” । ওই সংবাদমাধ্যমের অনলাইন এডিশনে দিন দুয়েক আগে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি নিচে তুলে ধরা হল : 

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে। এই অস্থিরতার কেন্দ্রে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির, যাকে ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে ও বাইরে বিতর্কের ঝড় বইছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে নিজের একচ্ছত্র নেতৃত্ব বজায় রাখতে মরিয়া, সেখানে হুমায়ুন কবিরের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড শুধু একজন বিদ্রোহী বিধায়কের প্রতিবাদে থেমে নেই, রীতিমতন দীর্ঘদিন ধরে গড়ে তোলা তৃণমূলের মুসলিম ভোটব্যাংকে গভীর ফাটল ধরানোর ইঙ্গিত?

গত কয়েক সপ্তাহে হুমায়ুন কবির যেভাবে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন, তাতে স্পষ্ট যে তিনি কেবল ক্ষোভ প্রকাশ করছেন না, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের বীজ বপন করছেন। এই সমীকরণের একদিকে তৃণমূলের ‘মীর জাফর’ তকমা, অন্যদিকে বিজেপির সম্ভাব্য নির্বাচনি লাভ—যা কেবল পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্রই নয়, সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও নতুন সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে। প্রশ্নটা সহজ, হুমায়ুন কবির আসলে কত বড় হুমকি?

হুমায়ুন কবিরের রাজনৈতিক যাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়, কিছুটা অস্থিতিশীলও। তিনি কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূল, আবার কখনও বিজেপির জার্সিও গায়ে চাপিয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মতো দাপুটে নেতাকে হারিয়ে ইউসুফ পাঠানের জয়ে কবিরের মাঠপর্যায়ের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু ওই সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে শুরু হয় তার সংঘাত। দল যখন ২০২৬-এর নির্বাচনি কৌশল সাজাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই হুমায়ুন কবিরকে ‘সাম্প্রদায়িক রাজনীতি’ এবং ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।

তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে পরিচিত ফিরহাদ হাকিম অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, দলের শৃঙ্খলা কমিটির তিনটি সতর্কতাবার্তা উপেক্ষা করে কবির উসকানিমূলক রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছেন। জবাবে কবিরও চুপ থাকেননি; সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরএসএসের গোপন যোগসাজশের অভিযোগ তুলে পাল্টা তোপ দেগে বসেছেন। তিনি বলেন, “মমতা দিদি বলেন আমি বিজেপির দালাল। কিন্তু তার আমলে পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস শাখা ৫৫৮ থেকে ১২ হাজারে পৌঁছেছে। কার সঙ্গে আঁতাত?” একজন কর্মীর এহেন আক্রমণাত্মক ভঙ্গি কি তৃণমূল নেত্রীকে অস্বস্তিতে ফেলছে না? উত্তর জটিল, কিন্তু সঙ্কটটা বাস্তব।

এই দ্বন্দ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত এবং সংবেদনশীল বিষয় হলো মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের নির্মাণের ঘোষণা। হুমায়ুন কবির প্রতীকীভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য বেছে নেন ৬ ডিসেম্বরকে, যা অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন । মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান রেখে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই পদক্ষেপটি যতটা না ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণের চেষ্টা, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতীকী রাজনীতির হাতিয়ার। কবির বারবার বলছেন, অর্থ বা জমি দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না, প্রয়োজন রাজনৈতিক ক্ষমতা। হুমায়ুনের ক্ষমতাবান হওয়ার চেষ্টাতেই বিদ্ধ হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুমায়ুনের এই বাবরি মসজিদ তৃণমূলের ভোটের পথে কণ্টক বিছিয়ে দিতে শুরু করেছে।

হুমায়ুনের যুক্তি, তৃণমূল বা বিজেপি একা ক্ষমতায় থাকলে এই মসজিদ হবে না, সরকারের ‘চাবিকাঠি’ সংখ্যালঘুদের হাতে থাকতে হবে। এটি কি কেবলই ধর্মীয় আবেগের প্রকাশ, নাকি সচেতনভাবে মুসলিম ভোটব্যাংকে তৃণমূলের প্রভাব থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার কৌশল? বিশ্লেষকদের মতে, কবির নিপুণভাবে এই আবেগকে ভোটে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছেন। এ এক বড় খেলা।

কবিরের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, তিনি নিজেকে একরকম ‘বাংলার ওয়াইসি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন! একজন এমন নেতা, যিনি ধর্মীয় সচেতনতা আর রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ মিশিয়ে এক নতুন প্রতিপক্ষ তৈরি করতে চান। সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর বেলডাঙায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ গঠন করেছেন। তার দাবি, রাজ্যের ২৯৪ আসনের মধ্যে অন্তত ১৩৫টিতে প্রার্থী দেবেন, লক্ষ্য অন্তত ৯০টি আসন জিতে ২০২৬-এ ‘কিংমেকার’ হওয়া।

৯০ আসন? স্বপ্ন না কৌশল? কবির বলেন, “২০২৬-এ কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। মুখ্যমন্ত্রী হতে আমাদের দলের সমর্থন লাগবে। আমরা ৯০ আসন জিতলে শক্তি আসবে।” এই লক্ষ্যে নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফ এবং বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রেখেছেন। প্রশ্ন জাগছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সত্যিই কবিরের এই উত্থানকে গুরুত্ব দিচ্ছেন?

তৃণমূল নেত্রী অবশ্য প্রকাশ্যে কবিরকে ‘মীর জাফর’ ও ‘বিজেপির টাকায় কেনা গাদ্দার’ বলে আক্রমণ করেছেন। তিনি এক সভায় বলেন, “যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে, তাদের বিজেপি কিনে নিয়েছে। আমাদের দলে গাদ্দারদের জায়গা নেই।”

হুমায়ুনকে বিজেপির কেনা বলাটা সহজ। কারণ পশ্চিমবঙ্গের এই মুসলিম রাজনীতিক একদা হিন্দুত্ববাদী বিজেপিও করেছেন। তবে এই রাজনৈতিক নাটকের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিকটি হলো, এর ফলে পরোক্ষে বিজেপিই লাভবান হচ্ছে। গত এক দশকে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের ক্ষমতার প্রধান ভিত্তি। হুমায়ুন কবিরের মতো নেতা যদি এই ভোটে ভাগ বসান, তবে বিজেপি লাভবান হবে। নির্বাচনি হিসাবের মোটামুটি সহজ সমীকরণ এমনই দাঁড়ায়। আগেও দেখেছি, যখনই মুসলিম ভোট বিভক্ত হয়, তখন হিন্দুত্ববাদী মেরুকরণের রাজনীতি জয়ী হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে কবিরের পদক্ষেপকে ‘তৃণমূলের নাটক’ বলা হলেও, তারা ঠিকই এই পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে হিন্দু ভোটারদের মধ্যে মেরুকরণ তৈরির চেষ্টা করছে । 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা এনআরসি-র মতো ইস্যুগুলোতে যখন সংখ্যালঘুদের মধ্যে একধরনের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে, তখন হুমায়ুন কবিরের এই ‘একলা চলো’ নীতি কি শেষ পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক সুরক্ষাকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে না? কবির অবশ্য দাবি করছেন যে, তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে গোপন সমঝোতা করেছে, আবার তৃণমূল বলছে কবির বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। এই কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্যে প্রকৃত লাভ কার, তা সময়ই বলে দেবে।

পশ্চিমবঙ্গের এই অস্থিরতা কেবল অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্তবর্তী এলাকায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির উত্থান বা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ তীব্র হলে তার প্রভাব সরাসরি বাংলাদেশে পড়বে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক নিবিড় সম্পর্কের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও কূটনৈতিক সম্পর্কে শীতলতা আনতে পারে।

মুর্শিদাবাদ বা মালদহের মতো জেলায় রাজনৈতিক মেরুকরণ দাঙ্গার রূপ নিলে বাংলাদেশে উদ্বেগ বাড়বে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত উসকানিমূলক ভাষা পরিহার করে দায়িত্বশীল আচরণ করা। ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ভিত্তি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্থিতিশীলতা, যা কোনো উগ্র রাজনীতির কৌশলের বলি হওয়া উচিত নয়।

হুমায়ুন কবির কি সত্যিই মমতার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন? তৃণমূল মনে করে তার প্রভাব সীমিত। কিন্তু রাজনীতিতে ছোট ফাটল থেকেই বড় ধস নামে। ধর্মীয় আবেগের তাসে নতুন রাজনৈতিক ইমারত গড়ার এই খেলা ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি যদি সফল হন, তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বড় ধরনের ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে। আর ব্যর্থ হলে তিনি কেবল একজন ‘ভোট কাটুয়া’ হিসেবে ইতিহাসে থেকে যাবেন, যার প্রধান কৃতিত্ব হবে বিজেপিকে ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিকল্প নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা স্বাভাবিক, কিন্তু সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ির ওপর দাঁড়ালে তা সামাজিকভাবেও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। মমতার চ্যালেঞ্জ এখন কেবল কবিরকে সামলানো নয়, সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকের আস্থাও ফিরিয়ে আনা। পশ্চিমবঙ্গের আগামী দিনগুলো অত্যন্ত নাটকীয় হতে চলেছে, যেখানে প্রতিটি চাল দাবার ফল নির্ধারণ করবে।

বাংলাদেশের ওই পোর্টালের প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনায় আতঙ্কের স্পষ্ট ছাপ প্রতিটি ছত্রে ছত্রে লক্ষ্য করা গেছে । কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের উপর তার ঠিক কি প্রভাব পড়বে তা স্পষ্ট করেনি । পাশাপাশি ওই মিডিয়া যে “সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি” দেওয়ার সমালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলিকে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার জ্ঞান দিয়েছে, তাদের নিজের দেশেই চরম সাম্প্রদায়িক হাওয়া কাজ করছে । আর তার সফট টার্গেট হচ্ছে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা । তাই “আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখায়”- বাংলাদেশ কি আর কোনো দিন ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারবে ? নিশ্চিত ভাবে নয় । কারন বাংলাদেশ এশিয়ার আর একটা পাকিস্তান হতে চলেছে । সন্ত্রাসের আঁতুরঘর ।। 

Previous Post

কেরালায় গর্ভবতী সঙ্গিনীকে ঘরে বন্দি রেখে অনাহারে ও ইস্ত্রি দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার শহীদ রহমান নামে যুবক 

Next Post

শ্রী কৃষ্ণ সহস্র নাম স্তোত্রম্ : ঋষি পরাশর বিরচিত এই স্তোত্র ভক্তি ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি আনে

Next Post
শ্রী কৃষ্ণ সহস্র নাম স্তোত্রম্ : ঋষি পরাশর বিরচিত এই স্তোত্র ভক্তি ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি আনে

শ্রী কৃষ্ণ সহস্র নাম স্তোত্রম্ : ঋষি পরাশর বিরচিত এই স্তোত্র ভক্তি ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি আনে

No Result
View All Result

Recent Posts

  • ক্রিসমাসে লাল মখমলের শাড়িতে রেখার রাজকীয় লুক নজর কাড়ল ভক্তদের 
  • “তুই মর্” :  ক্রিসমাস ভাষণে পুতিনকে অভিশাপ দিলেন জেলেনস্কি
  • শ্রী কৃষ্ণ সহস্র নাম স্তোত্রম্ : ঋষি পরাশর বিরচিত এই স্তোত্র ভক্তি ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি আনে
  • হুমায়ুন কবিরের উত্থানে মমতার গদিচ্যুতি ও বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখে আতঙ্কিত বাংলাদেশের মিডিয়া 
  • কেরালায় গর্ভবতী সঙ্গিনীকে ঘরে বন্দি রেখে অনাহারে ও ইস্ত্রি দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার শহীদ রহমান নামে যুবক 
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.