এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১০ আগস্ট : শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠালে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ঘেরাও করার হুমকি দিল এক বাংলাদেশি নেতা ৷ ওই নেতার নাম নুরুল হক । তিনি বাংলাদেশের একটা নতুন দল গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি পদে রয়েছেন । শুক্রবার ঢাকার পুরনো পল্টনে একটা সমাবেশে নুরুল হক স্পষ্ট জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে হবে।
নূর বলেন, ভারত ২০২৪, ২০১৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনগুলোতে শেখ হাসিনাকে একচ্ছত্র সমর্থন দিয়েছিল। যখন সারা বিশ্ব বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করেছিল, ভারত তখনও হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে মরিয়া ছিল। আমরা ভারতকে বলছি, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হোক। আর আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখুন। একটা দলের জন্য সম্পর্ক নষ্ট করবেন না । এরপর তিনি নয়াদিল্লিকে হুমকি দিয়ে বলেন,গণ অধিকার পরিষদ ভারত হাইকমিশনারকে ঘেরাও করবে যদি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো না হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও নূর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী করণীয়গুলো ঠিক করবেন। তিনি আশা করছেন যে এই সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নূর বলেছেন, ছাত্র- জনতা যখন বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে আরেকবার স্বাধীন করেছে তখন একদল মানুষ নৈরাজ্য কায়েম করছে। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় দখলদারি চালাচ্ছে, লুটপাট করছে। এসবের মাধ্যমে তারা ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দিতে চায়।
যদিও বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের উপর জামাতের জঙ্গিরা হামলা,খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটালেও ওই জঙ্গি সংগঠনকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন নুরুল হক । তার দাবি, ওই সমস্ত ঘটনায় গণ অধিকার পরিষদ, বিএনপি ও জামায়াত জড়িত নয় এবং তাদের চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উচিত তাদের বিচারের মুখোমুখি করা।পাশাপাশি বাংলাদেশ জুড়ে চলা নৈরাজ্য বন্ধ করতে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে ছাত্র -জনতার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি ।
এদিকে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করায় ‘প্রতিবিপ্লব’-এর ভুত দেখছে ওই সংগঠনটি ৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ রাশেদ খানের বক্তব্যে সেই আশঙ্কায় শোনা গেছে । তিনি বলেছেন,’বিপ্লবের পরে আবার প্রতিবিপ্লব ঘটার আশঙ্কা থাকে। এরইমধ্যে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা, ডাকাতি, রাহাজানি, হানাহানি শুরু হয়েছে। এগুলো কিন্তু কোনোভাবেই ভালো লক্ষণ নয়।’ তিনি আরও বলেছেন,’বাংলাদেশে আর কখনোই কোনো শেখ হাসিনা তৈরি হতে দেওয়া যাবে না ।’।