নীহারিকা মুখার্জ্জী,কলকাতা,২৩ এপ্রিল : দশভুজা মা দুর্গা কৈলাস থেকে না এলেও তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে ‘আমরা দশভুজা’ সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠীর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রায় ১০০ জন কবি-সাহিত্যিক গত ২১ শে এপ্রিল হাজির ছিলেন শিয়ালদহের কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা, বর্ধমান ও মেদিনীপুর এবং নদীয়া ও কলকাতা থেকে কবিদের সঙ্গে সঙ্গে এসেছিলেন প্রতিবেশি ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড থেকে। সুদূর বালুরঘাট থেকে এসেছিলেন দু’জন কবি। উপলক্ষ্য ছিল সংশ্লিষ্ট সাহিত্য পরিবারের ‘বৈশাখী সংখ্যা’ প্রকাশ অনুষ্ঠান। ১৫৫ জন কবি-সাহিত্যিকের বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লিখিত ভিন্ন স্বাদের কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ সমৃদ্ধ পত্রিকাটির এটি ছিল ষষ্ঠ সংখ্যা।
বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তথা পত্রিকার সভাপতি শ্রাবণী ঘোষ পরিবেশিত উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল দুপুর ২ টো নাগাদ। সমাপ্তি সঙ্গীতও তিনিই পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের মাঝে আরও একটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী মহুয়া গাঙ্গুলি। সম্পাদকীয় বক্তব্য পরিবেশন করেন পত্রিকার সম্পাদিকা কৃষ্ণা চক্রবর্তী। টানা চার ঘন্টা ধরে চলা এই অনুষ্ঠানটি ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ও গল্পপাঠে সমৃদ্ধ। সাহিত্য সম্পর্কে প্রবীণদের মননশীল আলোচনা একসময় অনুষ্ঠানটিকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়। তীব্র গরমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বাহ্যিক আড়ম্বরের পরিবর্তে এবারের অনুষ্ঠানটি ছিল আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ।
এর আগে পত্রিকা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে উপস্থিত অতিথিদের যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে বরণ করা হয়। এবারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. ইন্দ্রানী চক্রবর্তী, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত সমাজসেবিকা মণিকা মজুমদার ও বিশিষ্ট
কবি অসীম দাস। তাদের মূল্যবান ভাষণের পর উপস্থিত কবিদের করতালির মধ্য দিয়ে তাদের হাতে ধরেই প্রকাশিত হয় ‘বৈশাখী সংখ্যা’।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করলেন শুভাশিস সরকার ও অর্পিতা ঘোষ। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে আগত কবিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কৃষ্ণা দেবী বলেন – সবার নিঃস্বার্থ সহযোগিতায় আমরা গত কয়েক বছর ধরে এই পত্রিকাটি প্রকাশ করে চলেছি। আশাকরি আগামীতেও সবার সহযোগিতা পাব।প্রসঙ্গত, সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এই পত্রিকা গোষ্ঠী সমাজসেবামূলক কাজেও ইতিমধ্যেই একটা বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করে নিয়েছে।।