এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,২৯ আগস্ট : বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর মোহনা থেকে ট্রলারসহ বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৷ মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি তাদের পনবন্দি করেছে বলে জানা গেছে । তবে ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝিদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির পক্ষ থেকে সেই সংখ্যা ৫১ জন বলা হলেও টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন বলেছে ৫৮ জন। স্থানীয় বোট মালিক সমিতি ৫৭ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝি-মাল্লাদের ফেরত আনার বিষয়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে ‘অনানুষ্ঠানিক’ যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৫১ জন জেলে জিম্মি থাকার তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। সেখানে বাংলাদেশিদের সঙ্গে রোহিঙ্গাও আছে ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেছেন,’আমাদের কাছে ৫৮ জন মাঝি-মাল্লা জিম্মি থাকার তথ্য রয়েছে। এটি চলতি বছরের ৫ অগাস্ট থেকে এখন পর্যন্ত জিম্মি থাকার তথ্য। যাদের কেউ ফিরে এসেছেন বা ছেড়ে দিয়েছে এমন তথ্য নেই।’
পাশাপাশি শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি গফুর আলম বলেছেন,’৫৭ জন মাঝিমাল্লা এখনো আরাকান আর্মির হাতে ‘বন্দি’ আছে । যেখানে তার মালিকানাধীন একটি ট্রলারের ১২ জন মাঝি-মাল্লাও আছেন।’ এর মধ্যে ২৩ অগাস্ট থেকে ২৬ অগাস্ট টানা চার দিনে আরাকান আর্মি ছয়টি ট্রলারসহ ৪৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
তবে ‘অপহরণ’ করা নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য সামনে আসছে । মাঝিমাল্লারা ‘অপহৃত’ হননি দাবি করে বিজিবির মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,’মূলত জেলেরা শূন্য রেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়ায় আরাকান আর্মি তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।’তবে বোট মালিকদের দাবি, আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে করে এসে বাংলাদেশের সীমানা থেকে জেলেদের নিয়ে যাচ্ছে। লুট করা হচ্ছে লাখ টাকার মাছ জালসহ ট্রলার। বোট মালিক মহম্মদ সুলতান বলেন,’২০ অগাস্ট সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল আমার ‘এফ-বি ওসমান’ ট্রলার। ২৩ তারিখ মাছ নিয়ে ফেরার পথে আরাকান আর্মির স্পিডবোট তাড়া করে সবাইকে নিয়ে গেছে।’ এতে জেলেরা ছাড়াও তার প্রায় ৩০ লাখ টাকার মত সম্পদ আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি রয়েছে বলে দাবি তার ।।

