প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৬ জুলাই : রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান । এই জেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল ধান। আর সেই ’ধান’ নিয়েই ’ইন্টারন্যাশনাল ’রাইস রিসার্চ’ ইনস্টিটিউটের’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমেরিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনার ডাক পেলেন শস্যগোলার যুবক আকাশ দত্ত । সমগ্র এশিয়া মহাদেশ থেকে শুধুমাত্র দুই কৃতি আকাশ ও বাংলাদেশের একজন নাগরিক এই সূযোগ পেয়েছেন।’বিশ্ব উষ্ণায়ন ’পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আকাশ উন্নতমানের উচ্চ ফলনশীল নতুন কি ’ধান’ আবিস্কার করে
সেদিকেই এখন তাকিয়ে শস্য গোলার কৃষক মহল ।
বর্ধমান শহরের ৪ নম্বর ইছলাবাদে বাড়ি আকাশ দত্তর । তিনি জানিয়েছেন, ’ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে তাকে একটি ’প্রজেক্ট’ জমা দিতে বলা হয় । সেই ‘প্রজেক্টের’ ভিত্তিতেই তিনি ১০০ শতাংশ স্কলারশিপে আমেরিকার ’ইউনিভার্সিটি অফ ইলিওনিস আবার্না স্যাম্পেইনে’ গবেষণার ডাক পেয়েছেন’। আকাশ দত্ত আরও জানান ,’বর্তমান ’গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ পরিস্থিতিতে বদলে যাওয়া আবহাওয়ার সঙ্গে সাঞ্জস্য রেখে কিভাবে আরও উন্নতমানের উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদন করা যায় সেই লক্ষ্যেই তিনি গবেষণা চালাবেন।’ধান গাছের ’জেনেটিক ম্যানুপুলেশনই’ হলো তার গবেষণার বিষয়।মূলত পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদিত হয় এমন ধান নিয়েই তিনি গবেষণা করতে আগ্রহী। বিভিন্ন সময়ে ’খরা’ এবং ’অতিবৃষ্টির’ জন্য এই রাজ্যে প্রচুর ধান নষ্ট হয়। তার জন্যে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় রাজ্যের কৃষকদের।তাই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যাতে চাষের কোন অসুবিধা না হয়, চাষিরা যাতে ঠিকমতো ধান উৎপাদন করতে পারেন সেই দিকটিও তিনি গবেষনার সময়ে মাথায় রাখবেন বলে জানান । একই সঙ্গে আকাশ দত্ত বলেন ,গবেষণা শেষ করে তিনি নিজের দেশের মাটিতে সেই গবেষণার ফল প্রয়োগ করতে চান।
ছেলের চাষিদের স্বার্থে ’ধান’ নিয়ে আনেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনা করবে জেনে যারপরনাই খুশি আকাশের বাবা তারাপদ দত্ত।তারাপদ বাবু জানান, ’তিনি দীর্ঘদিন কৃষিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন । শুধু তাই নয় ।তিনি নিজেও একজন চাষি পরিবারের সদস্য। পরিবারের চাষের জমি এখনও তিনি নিজেই চাষবাদ করেন।কৃষক পরিবারের ছেলে হয়ে আকাশ চাষিদের স্বার্থে ’ধান ’ নিয়ে গবেষণা করবে জেনে তাই তিনি ভীষণ খুশি বলে তারাপদ বাবু জানিয়েছেন’ । আকাশ
আন্তর্জাতিক স্তরে ’ধান’ নিয়ে গবেষণা করতে
যাচ্ছে জেনে খুশি পরিবারের অন্য সদস্যরাও ।
রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন ,আকাশ গবেষণায় সফল হয়ে ’ধান’ চাষে নতুন কিছু দিশা দেখাতে পারবে বলেই তিনি প্রত্যাশা রাখেন ।।