এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,০১ ডিসেম্বর : মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী। আর এই কর্মসূচীর প্রথম দিনেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হল বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের প্রশাসনকে । এদিন বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়োশিবতলায় ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবিরে এসে সরকারী প্রকল্পে বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রে ‘স্বজন পোষনে’র অভিযোগ তুললেন স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয়দের অভিযোগ,যাদের বাড়ি নেই বা বহু পুরনো বাড়িতে বিপজ্জনকভাবে বসবাস করেন তাদের বঞ্চিত করে অনেকের পাকা বাড়ি ভেঙ্গে নতুন বাড়ি তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে । যদিও পুরসভার তরফ থেকে এনিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৷
দেখুন ভিডিও :-
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এদিন থেকে রাজ্য জুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসুচী শুরু হয়েছে । চলবে জানুয়ারী মাস পর্যন্ত ৷ এই দু’মাস প্রতিটি এলাকায় সরকারিভাবে শিবির করে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত মানুষের যাবতীয় অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের আধিকারিকরা । এক ছাতার তলায় মিলবে ১১টি প্রকল্পের পরিষেবা। বিডিও, মহকুমাশাসক, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের দ্বারা এই শিবির পরিচালিত হবে বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার ২২ টি ব্লক, ১৯০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পৌরসভার ৫৮ টি ওয়ার্ড মিলিয়ে ১২০০ শিবিরে এই কাজ করার কথা রয়েছে । এদিন বিষ্ণুপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়োশিবতলায় এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল । শিবিরে প্রশাসন ও স্থানীয় পুরসভার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বলে খবর৷ কিন্তু শিবির শুরু হতেই সরকারি আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা
স্থানীয় বাসিন্দা ঝর্ণা লোহার বলেন, ‘এক দেড়শো বছরের পুরানো ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করি। স্থানীয় কাউন্সিলরকে বলেও কাজ হয়নি। আমাদের চোখের সামনে পাকা বাড়ি ভেঙ্গে সরকারী প্রকল্পে নতুন বাড়ি তৈরী হচ্ছে। লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাই । এই অবস্থায় নিজেদের খরচে বাড়ি তৈরী করার ক্ষমতা নেই।’
পুতুল করঙ্গা নামে স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগ, তাঁদের পরিবারের ১২ জন সদস্য । বাড়ি ঘর নেই । তাই ত্রিপল টাঙ্গিয়ে বাস করতে হচ্ছে । আবাস যোজনার অনুদানের জন্য তাঁরা সমস্ত কাগজপত্র জমা করলেও এযাবৎ অনুদান মেলেনি । অথচ অনেকের পাকা বাড়ি ভেঙ্গে৷ নতুন করে বাড়ি তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ তাঁরা যোগ্য হলেও অনুদান দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর ।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর পৌরসভার নবনিযুক্ত প্রশাসক দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। সব ওয়ার্ডের বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগের তদন্ত হবে। পরে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যেকেই বাড়ি পাবেন।’