এইদিন ওয়েবডেস্ক,নুহ(হরিয়ানা),০৭ আগস্ট : গত ৩১ জুলাই মহাদেবের জলাভিষেক যাত্রার উপর এলোপাথাড়ি পাথর ছোড়ে হরিয়ানার নুহ জেলার মেবাতের মুসলিম কট্টরপন্থীরা । গুলি চলে, অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পূণ্যার্থীদের উপর হামলা চালায় । এমনকি অল্প বয়সী তরুনী পূণ্যার্থীদের মুসলিম কট্টরপন্থীরা তুলে মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ বা গনধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । এখনো অনেক অল্পবয়সী মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করছে স্থানীয় বাসিন্দারা । খুন হয় দুই হোম গার্ড সহ ৬ জন পূণ্যার্থী । ঘটনার পর থেকে কট্টরপন্থীদের উপর বুলডোজার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে । নুহের মূল সড়ক পথের পাশে যে তিনতলা বাড়ি থেকে পূণ্যার্থীদের উপর পাথর ছোড়া হয়েছিল, ভাইরাল ভিডিও থেকে সেটি চিহ্নিত করে সেটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল নুহ প্রশাসন । বলা হচ্ছে যে, ওই বাড়িটি সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মান করা হয়েছিল এবং “সাহারা ফ্যামিলি রেস্তোরাঁ” নামে ভবনটিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হত । এর আগে ৫ আগস্ট সকালে নুহ জেলা প্রশাসন নলহার রোড এলাকায় ৪৫ টিরও বেশি অবৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ।
গুরুগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার বরুণ কুমার ধহিয়া সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন,’ নুহতে সংঘর্ষের পরে গুরুগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে সহিংসতার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, ৩৮ জন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । গুরুগ্রামে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় আমরা ২৭ টি এফআইআর দায়ের করেছি এবং ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছি । আমরা আরও ৬০ জনকে আটক করেছি ।’
নুহ হিংসার ঘটনাকে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছিলেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ । তিনি সাফ জানিয়ে দেন,’কোনো অপরাধী রেহাই পাবে না । হিংসার ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের গ্রেফতার করা হবে । সরকারী সম্পত্তির যা ক্ষতি হয়েছে তা দাঙ্গাকারীদের কাছ থেকে আদায় করা হবে ।’
এদিকে নূহের কংগ্রেসের বিধায়ক মামন খান ও আম আদমি পার্টির এক মুসলিম নেতার বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে । বিশেষ করে বজরং দলের এক কর্মীকে ঘিরে ধরে খুনের অভিযোগ রয়েছে আম আদমি পার্টির ওই নেতার বিরুদ্ধে । এফ আই আরেও নাম রয়েছে তার । বর্তমানে তারা দু’জনেই গাঢাকা দিয়ে । এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে তাদের দলের কেউ এই হিংসার জড়িত নয় । যদিও পুলিশ তাকে খুঁজছে বলে জানা গেছে ।।