এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,১৯ ফেব্রুয়ারী : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭.৮ মাত্রার বিপর্যয়কর ভূমিকম্পে এযাবৎ অর্ধ লাখের কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হয়েছে । আহত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ । ভেঙে পড়েছে হাজার দেড়েক ভবন । রক্ষা পায়নি সেদেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলিও । গত সপ্তাহের সোমবার ভূমিকম্পের পর তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মালটিয়াতে অবস্থিত ১৭ শতকের ইয়েনি কামি বা নতুন মসজিদটিও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে । ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় শৈলীতে নির্মিত পাথরের তৈরি মসজিদটি গত বছর পুনরুদ্ধার করা হয় এবং নিয়মিত উপাসনার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল ।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪.১৭ তে যখন ভূমিকম্পটি আঘাত হানে সেই সময় ভবনটিতে কিছু শ্রদ্ধালু উপস্থিত ছিল বলে খবর । তবে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি । তবে এই প্রথম ঘটনা নয়, পূর্ববর্তী ভূমিকম্পেও মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । এর আগে ১৮৯৪ সালের মার্চ মাসে ভূমিকম্পে ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল ইয়েনি মসজিদ । এরপর ১৯৬৪ সালের মানিয়াস ভূমিকম্পে এটি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
তবে শুধু ইয়েনি মসজিদই নয়,বরঞ্চ হাতায় প্রদেশের ইস্কেন্ডারুন জেলায় অবস্থিত ল্যাটিন ক্যাথলিক চার্চ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এছাড়া সোমবারের প্রাথমিক ভূমিকম্পের পর ২,০০০ বছরের পুরনো গাজিয়ানটেপ দুর্গটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এর অনেক দেয়াল এবং ওয়াচ টাওয়ার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে । পাশাপাশি সিরিয়ার প্রাচীন আলেপ্পো দুর্গ, এই অঞ্চলের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম দুর্গগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত, সোমবারের প্রাথমিক ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মধ্যযুগের এই দুর্গের প্রবেশদ্বার এবং উঁচু দেয়ালগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ।।