এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুন্টুর,২০ এপ্রিল : মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ৮০ জন পুরুষের লালসার শিকার হল এক কিশোরী । তাও মাত্র ৮ মাসের মধ্যে । মানবতাকে লজ্জিত করার মত এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায় । মঙ্গলবার নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে হোমে পাঠানো হয় । দেহ ব্যবসা চক্রের যে মক্ষীরানী মেয়েটিকে দত্তক নেওয়ার অছিলায় অন্ধকার জগতে ঠেলে দিয়েছিল, স্বর্ণা কুমারী নামে সেই মহিলাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ ধর্ষককে । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিজয়ওয়াড়া, হায়দ্রাবাদ, কাকিনাডা এবং নেলোর এলাকা থেকে ধরা হয়েছে । বাকি ৭০ জনের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ । বিগত ৮ মাস ধরে কিশোরীকে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার বিভিন্ন পতিতালয়ে পতিতাবৃত্তির জন্য ওই মহিলা পাঠিয়েছিল বলে জানিয়েছেন গুন্টুর জেলার অতিরিক্ত এসপি সুপ্রজা ।
পুলিশ সুত্রে খবর,গত বছর জুনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিশোরীর মা । তখনই কিশোরীর মায়ের সঙ্গে স্বর্ণা কুমারীর পরিচয় ও বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে । কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিনের মধ্যেই নাবালিকার মায়ের মৃত্যু হয় । আর তারপরেই মেয়েটির বাবার অনুমতিক্রমে তাকে দত্তক নেয় স্বর্ণা কুমারী ।
জানা গেছে, আগস্টে স্বর্ণা কুমারীর কাছে গিয়ে মেয়ের খবর নিতে গিয়েছিলেন কিশোরীর বাবা । কিন্তু ওই মহিলার কাছ থেকে মেয়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে তিনি একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন । আর তার ভিত্তিতে কিশোরীর সন্ধানে তদন্তে নামে পুলিশ । পুলিশের সন্দেহ স্বর্ণা কুমারীর উপরে পড়ে । আর তাকে চেপে ধরতেই পুলিশ দেহ ব্যবসার একটা বড়সড় চক্রের সন্ধান পায় । মঙ্গলবার উদ্ধার হয় নির্যাতিতা কিশোরী । প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিগত ৮-৯ মাস ধরে কিশোরীকে বহু জায়গায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল । নুন্যতম ৮০ জন পুরুষের লালসার শিকার হতে হয় তাকে । এযাবৎ ধরা পড়েছে একজন বিটেক পড়ুয়াসহ ১০ জন ।।