এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,২৫ ডিসেম্বর : রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন যে রাজ্য জুড়ে ধরা পড়া বাংলাদেশি সন্ত্রাসীরা ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাসপোর্ট জুটিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে । সন্ত্রাসবাদী শাদ রাদির দুই জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকার ঘটনায় মুর্শিদাবাদের খাটান নওদার দুর্লভপুর এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর নাম জড়ানোয় দিলীপ ঘোষের এই দাবি অবশেষে সত্যি প্রমানিত হল । অভিযোগ যে সন্ত্রাসবাদী শাদ রাদির নাম ভোটার তালিকায় তুলতে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই নেতা ২০২১ সালে নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন । তার সুপারিশেই ২০২৩ সালের জুন মাসে ভোটার তালিকায় ওই জঙ্গির নাম ওঠে । মুর্শিদাবাদ জেলাশাসকের পাঠানো সন্ত্রাসী শাদ রাদির সংক্রান্ত নওদার বিডিওর রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্থান টাইমস । শুধু তাইই নয়, নওদায় ওই সন্ত্রাসবাদীর আত্মীয়ের বাড়ি, তার নিয়মিত যাতায়াতও ছিল এবং স্থানীয় এক যুবতীকে বিয়ে করেছিল বলে জানিয়েছেন নওদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সইদুল ইসলাম মণ্ডল । যদিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর স্বামী আলতাব হোসেন মণ্ডল ওই সন্ত্রাসবাদীর নাম ভোটার তালিকায় তোলায় প্রভাব খাটানোর দাবি অস্বীকার করেছেন ।
এদিকে রবিবার লালগোলা থানার ছাতায়ডুবি এলাকা থেকে ফের এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ বছর চারেক আগে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে শওকাত শেখ (৩২) নামে ওই বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিল । এদেশের আসার পর তার বাবার নাম বদলে হয়ে যায় নওশাদ আলি। স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করে এবং নিয়মিত ভোটও দিচ্ছিল । শ্রমিকের কাজ করে সে রীতিমতো সংসার ফেঁদে জাঁকিয়ে বসেছিল । সোমবার লালবাগ মহকুমা আদালতে তুলে পুলিশ তাকে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ।
প্রসঙ্গত,নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশি মহম্মদ শাদ রাদি (Mohammed Sab Radi)কে কেরালা থেকে গ্রেফতার করা হয় । সে স্লিপার সেল স্থাপনের জন্য কেরালায় ছিল বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা ৷ এবিটি হল ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার একটি সহযোগী সংগঠন । মহম্মদ শাদ রাদিকে গ্রেফতারের আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় থেকে গ্রেফতার হয়েছে আনসারুল্লা বাংলা টিমের অপর দুই সন্ত্রাসী আব্বাস ও মণিরুল । সকলেরই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত রয়েছে । সঙ্গতকারনেই মুর্শিদাবাদ জেলাকে অনুপ্রবেশকারীদের করিডর ও তাদের জন্য জাল নথির এপিসেন্টার হিসাবে বর্ণনা করছে কেউ কেউ ।।