এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০২ মার্চ : বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা বর্তমানে ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির হাতে । আস্তে আস্তে তারা দেশে ইসলামি শরিয়া শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগুচ্ছে । আর এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে সেদেশের হিন্দুরা । হিন্দু মেয়েদের ইসলামি পোশাক বোরখা পরার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে । মুর্তি পুজো বন্ধ করতে মন্দিরে মন্দিরে হামলা চালিয়ে দেবদেবীর প্রতিমা ভাঙচুর করছে মুসলিমরা । অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরিত করার প্রচেষ্টা তো লাগাতার চলছে । এরই মাঝে রমজান মাসে হিন্দুদের বিয়ে বন্ধ করতে গান, বাজনার উপর ফতোয়া জারি করল তুরস্ক ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুত তাহরির । ফতোয়ায় তারা কমিউনিটি সেন্টারগুলির মালিকদের হুমকি দিয়েছে যে তাদের নিষেধ অমান্য করলে সব আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেবে ।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের হিজবুত তাহরিরের সেক্রেটারি জেনারেল মহম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্বাক্ষরিত হাতে লেখা ওই ফতোয়ায় বলা হয়েছে, “এতদ্বারা চট্টগ্রাম জেলার সকল কমিউনিটি সেন্টারের মালিক কর্তৃপক্ষদের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে পবিত্র মাহে রমজান মাস হলো মুসলিমদের ইবাদতের মাস, কোরান তেলাওয়াতের মাস,তাহাবুদ তাছাবিহ তাহলিল ঝিকির সিয়াম সাধনার মাস, তাই কমিউনিটি সেন্টারে কোন বাদ্য বাজনা ঢোল তবলা আনসার বাজানোর দ্বারা সনাতনী ধর্মের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো । সনাতনী ধর্মের বিয়ের অনুষ্ঠান অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক । অন্যথায় রমজান মাসে কমিউনিটি সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করে জালিয়ে দেয়া হবে ।’ ওই ফতোয়ার একবারে উপরে লেখা হয়েছে, বিভিন্ন ইসলামিক স্লোগান । ফতোয়াটি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে । যদিও এই বিষয়ে মোহাম্মদ ইউনূসের সরকারে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
প্রসঙ্গত, হিযবুত তাহরীর খেলাফত স্থাপনের লক্ষ্যে কুখ্যাত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামী স্টেট (আইএসআইএস) -এর সমর্থক একটি দল, যা নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত । কিন্তু মোহাম্মদ ইউনূস মার্কিন সহায়তায় শেখ হাসিনাকে সরিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতা কুক্তিগত করার পর থেকেই এই সন্ত্রাসী সংগঠনে বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়ে গেছে । এখন তারা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্যে মিছিল করে বাংলাদেশে শছড়িয়ে শাসন প্রতিষ্ঠার দাবি তুলছে ।।