প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ জুন : একের পর এক সোনার দোকানে ডাকাতি ও শুট আউট কাণ্ড উদ্বেগ বাড়িয়েছে বঙ্গবাসীর । এমন আবহের মধ্যেই শুক্রবার রাতে দুই সশস্ত্র দুস্কৃতির ঘটানো ভয়ংকর কাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানে মেমারির বাসিন্দা মহলে।গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে নাতনির সামনে দিদিমাকে গণধর্ষণ ও লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা ।তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্য মেমারি থানার পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের জালে পুরতে সক্ষম হয়েছে । জেলার পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন,’ঘটনার খবর পেয়েই অভিযানে নেমে মেমারি থানার পুলিশ দুই দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত চলছে।’
পুলিশকে নির্যাতিতা যা জানিয়েছেন তা যথেষ্ট শিউরে ওঠার মতো। নির্যাতিতা জানিয়েছেন,’শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে নাবালিকা নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে একই ঘরে তিনি শুয়েছিলেন।বাথরুমে যাবার জন্যে গভীর রাতে তিনি ঘর থেকে বাইরে বের হন।নির্যাতিতার অভিযোগ ,ওই সময়েই মুখ বাঁধা থাকা দুই দুস্কৃতি তাঁর ঘরে ঢুকে পরে।তাঁর হাত ও পা চেপে ধরে দুস্কৃতিরা তাঁকে গণধর্ষণ করে।তার পর গলায় বটি ধরে চুপ করে থাকতে বাধ্য করে দুস্কৃতিরা তাঁর বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে চম্পট দেয় ।’
এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই অভিযানে নামে মেমারি থানার পুলিশ । শুরু হয় দুষ্কৃতীদের খোঁজ । মেমারি রেল স্টেশন সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ হানা দেয় । মেমারি স্টেশনে পুলিশ হানা দিতেই এক দুস্কৃতি রেল লাইন ধরে ছুটতে শুরু করে।পুলিশও তার পিছু ধাওয়া করে । তারই মধ্যে ওই দুষ্কৃতীরা পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে গ্রেপ্তারি থেকে পরিত্রাণ পাবার চেষ্টা চালায় । কিন্তু তাতে লাভ হয় না। পুলিশ পুকুর থেকে ওই দুস্কৃতিকে উদ্ধার করে তাকে গ্রেপ্তার করে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ অপর দুষ্কৃতীর বিষয়েও জানতে পারে । মেমারির নিমো এলাকা থেকে পুলিশ অপর দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করে ।
পুলিশের দাবি,জেরায় ধৃতরা নিজেদের অপরাদের কথা স্বীকার করেছে । তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এদিন ধৃতদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করেনি । এদিনই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতার মেডিকেল টেস্ট করানো হয়।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে রবিবার ধৃত দুস্কৃতিদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে বলে মেমারি থানার পুলিশ জানিয়েছে। দুস্কৃতিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন নির্যাতিতা ।।