প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২১ জুন : জাতীয় সড়কে ভয়ংকর দুর্ঘটনার কবলে পড়লো অ্যাম্বুলেন্স। দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে অ্যাম্বুলেন্সটি সজোরে ধাক্কা দেওয়ায় মৃত্যু হল অ্যাম্বুলেন্সে সওয়ার থাকা তিন আরোহীর। জখম হয়েছেন আরো ৪ জন। শনিবার ভোরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের মুসুন্ডা এলাকায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে পরীক্ষা- নিরিক্ষা শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,অ্যাম্বুলেন্স চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই সম্ভবত এই দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন গৌতম দাস(৫৫), বিশ্বজিৎ চৌধুরী (৫২) এবং বিধান রুইদাস (৩৫)। পুলিশ জেনেছে,গৌতমের বাড়ি উত্তর ২৪পরগণার যশোর রোডে। বিশ্বজিৎ দুর্গাপুরের বাসিন্দা । তিনি অ্যাম্বুলেন্সের টেকনিশিয়ান।অপর মৃত অ্যাম্বুলেন্স চালক বিধান রুইদাসের বাড়ি বীরভূমের জয়দেবে।
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এক রোগীকে কলকাতার দমদমের ঠিকানায় পৌছে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্গাপুর ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ৩ জনকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এসডিপিও)অভিষেক মণ্ডল জানান,আজ শনিবার আনুমানিক ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ জামালপুরের মুসুণ্ডা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে চিকিৎসক তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জখম ৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃত গৌতম দাসের আত্মীয় শুক্লা মৈত্র জানান অ্যাম্বুলেন্সের টেকনিশিয়ানের তিন আত্মীয় অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন। তাঁরা কলকাতা থেকে দুর্গাপুর ফিরছিলেন। রোগীকে কলকাতার ঠিকানায় পৌছে দেওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স ফাঁকা থাকার তাঁরা কলকাতাতেই অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বসেন। কিন্তু ভোরের দিকে অ্যাম্বুলেন্স চালক অ্যাম্বুলেন্স চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে যাওয়ায় জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পিছনে ধাক্কা মেরে বসে অ্যাম্বুলেন্সটি।। ভয়ংকর সেই দুর্ঘটনাতেই তাঁর আত্মীয় গৌতম দাস সহ তিনজনের মৃত্যু হয়।।

