এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,২৪ আগস্ট : আসামের নগাঁও জেলার ধিং এলাকায় ১৪ বছরের এক হিন্দু কিশোরীকে তিন যুবক দ্বারা গনধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে । বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে টিউশন থেকে সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় ওই কিশোরীকে অপহরণ করে গনধর্ষণ করে তফাজুল হুসেন(Tafazzul Hussain), জাহিদুল ইসলাম (Jonaidul Islam) ও আরও একজন মুসলিম যুবক । নির্যাতিতা দশম শ্রেণির ছাত্রী । তাকে নগ্ন অচেতন অবস্থায় একটি পুকুরের কাছে তার সাইকেল নিয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মেয়েটিকে অবিলম্বে ধিং এফআরইউতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় । মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে ।
হামলার নৃশংসতা এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। এই ঘটনায় পুলিশ তফাজুল হুসেন ও জাহিদুল ইসলাম নামে দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে । গ্রেফতারির পর পুলিশ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের শুক্রবার ঘটনাস্থলে নিয়ে যাচ্ছিল । সেই সময় একটা নদীর উপর সেতুর উপর দিয়ে পুলিশের গাড়ি যাওয়ার সময় তফাজুল হুসেন নদীর জলে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে । কিন্তু সে স্রোতে তলিয়ে যায় এবং পরে কিছুটা দূরে তার দেহ উদ্ধার হয় । পুলিশ জানিয়েছে,তৃতীয় অভিযুক্তের সন্ধান চলছে ।
আসামের ধিং রিজিওনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন শুক্রবার ধর্ষণের ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা করেছে এবং সমস্ত অপরাধীদের পুলিশ গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ধিং সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করেছে। ছাত্র ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিবাদ স্বরূপ ধিং-এ সমস্ত দোকানপাট, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ডিজিপিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তিনি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন,’ধিং- এর ভয়ঙ্কর ঘটনা, একটি নাবালিকাকে জড়িত করে, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং আমাদের সম্মিলিত বিবেককে আঘাত করেছে। আমরা কাউকে রেহাই দেব না এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনব। আমি আসাম পুলিশের ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়েছি সাইট পরিদর্শন করতে এবং এই ধরনের দানবদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে ।’
আসামের এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একজন ডাক্তারকে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার কয়েকদিন পরেই এসেছে যা বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছ ।।