শ্যামসুন্দর ঘোষ,পূর্ব বর্ধমান,১০ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর দুই অনুগামীর মধ্যে বচসা ও হাতাহাতির জেরে মৃত্যু হয়েছে একজনের । ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার সকাল প্রায় ৬ টা নাগাদ মেমারি থানার অন্তর্গত বড়পলাশনে একটি চায়ের দোকানের সামনে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম লাল্টু সিকদার(৭০)। তার সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতিতে জড়ান তারু শেখ ওরফে সেখ আসলাম (৬০) । জানা গেছে, তারু শেখ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল গোষ্ঠীর লোক । অন্যদিকে মৃত লাল্টু সিকদার মন্ত্রী ও মন্তেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অনুগামী ছিলেন ।
বড়পলাশন গ্রাম মেমারি থানার অন্তর্গত হলেও এটি মন্তেশ্বর বিধানসভার মধ্যে পড়ে । এই বিধানসভা এলাকায় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে । সাম্প্রতিক সময়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে এসে একাধিক বার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,মঙ্গলবার এলাকায় বইমেলার উদ্বোধনে অংশ নেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী । সেখানে গিয়েছিলেন মন্ত্রীর অনুগামী লাল্টু সিকদার । তবে যথারীতি ওই দিক মাড়ায়নি প্রাক্তন ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর লোকেরা । আজ সকালে বড়পলাশন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদের গাছতলা নামে জায়গায় একটি চায়ের দোকানে চা পান করতে গিয়েছিলেন লাল্টু সিকদার ও তারু শেখ । দোকানের সামনে একটা বেঞ্চে বসে তারা চা পান করছিলেন৷ সেই সময় তাদের দলীয় বিষয় নিয়ে বচসা বাধে । ক্রমে এনিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় । সেই সময় তারু শেখ সজোরে ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়েন লাল্টু সিকদার । আর প্রায় তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন লাল্টু । স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । অন্যদিকে তারু শেখও অসুস্থ হয়ে পড়ে । তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । যদিও ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি । বর্তমানে এলাকায় নজর রাখছে পুলিশ । পাশাপাশি ময়নাতদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেয় ।।

