এইদিন ওয়েবডেস্ক,অমরাবতী,১৩ নভেম্বর : শনিবার বিজেপির ডাকা বনধ ঘিরে মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল । ভিড়ের মধ্য থেকে কিছু মানুষ ইঁটপাটকেল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশ বনধ সমর্থনকারীদের ওপর এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করতে শুরু করে । বর্তমানে জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত,গত মাসে ত্রিপুরায় হিংসার ঘটনার বিরুদ্ধে শুক্রবার মহারাষ্ট্রের অমরাবতী,নান্দেদ ও মালেগাঁও-এ কিছু মুসলিম সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছিল । ওই প্রদর্শন ঘিরে ওই তিন জায়গাতেই ব্যাপক অশান্তি ছড়ায় । অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, ইঁটপাটকেল ছোড়ার ঘটনাও ঘটে । শুক্রবার মালেগাঁওতে হিংসার ঘটনায় ৩ পুলিশ অফিসার, ৫ পুলিশকর্মী এবং ৩ জন সাধারন মানুষও আহত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে । ঘটনার পর এসআরপিএফ এবং নাসিক গ্রামীণ পুলিশ বাহিনীর দুটি দল মোতায়েন করা হয় । এদিকে অমরাবতীতেও মুসলিম সংগঠনের বিক্ষোভের সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দোকানে পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ । যার জেরে এলাকার অনেক জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায় । এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,বনধের সমর্থনে এদিন সকালে শতাধিক মানুষ গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে অমরাবতীর পথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে । একটি দোকান খোলা দেখে বিজেপি কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর শুরু করে । এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করতে শুরু করে । পাশাপাশি টিয়ার গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ । বিক্ষোভকারীদের আটকাতে জলকামানও কাজে লাগানো হয় । এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বর্তমানে বিপুল সংখ্যায় পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ভালসে বলেন, ‘ত্রিপুরার হিংসার ঘটনার বিরুদ্ধে মুসলিমরা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ করেছিল । এই সময় নান্দেদ, মালেগাঁও,অমরাবতীসহ অনেক জায়গায় পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে । আমি হিন্দু-মুসলমান উভয়পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছি ।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে । পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি । হিংসার ঘটনায় যুক্তদের কাউকেই ছাড়া হবে না ।’
তবে এই হিংসার ঘটনায় মহারাষ্ট্র সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি । বিজেপি নেতা রাম কদম প্রশ্ন তোলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থা কী করছিল ?’