এইদিন ওয়েবডেস্ক,৩০ জুলাই : হেলমান্দ নদীর জলের ভাগ নিয়ে প্রায়শই ইরান-আফগানিস্তানের মধ্যে টানাপোড়েন চলে । ফের একবার দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে । ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন,হেলমান্দ নদীর জলের ভাগ ইরান ঠিকমত না পেলে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে । আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাথে তিনি ফোনে এনিয়ে কথাও বলেছেন ।
প্রসঙ্গত, হেলমান্দ নদী বৃষ্টিপাতের জলে পুষ্ট । ইরান ও আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকরা কৃষিকাজের জন্য মূলত এই নদীর উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল । বর্তমানে আফগানিস্তানে বর্ষার মরশুম চলছে । ফলে হেলমান্দ নদী দিয়ে ফের জল প্রবাহিত হচ্ছে । এদিকে নদীর জল বাড়তেই নিজের দেশের জলের ভাগের জন্য আফগানিস্তানের কাছে দাবি শুরু করেছে ইরান । প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলমান্দ নদীর জলের জন্য দাবি জানাতেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ।
ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন,’হেলমান্দ নদীতে আবার জল প্রবাহিত হচ্ছে। ইরান তার জলের অধিকারের চায় । তাই জল প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী সকল কৃত্রিম বাঁধা আফগানিস্তানকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে । আফগান সরকারের উচিত, ইরানের প্রতি তার আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ও আনুগত্যের মূল্যায়ন করা।’ তিনি সিস্তান ও বেলুচেস্তান প্রদেশের জনগণ এবং আইনপ্রণেতাদের এই দাবির বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ।
আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে ইরানের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা তুলে ধরে আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেন,’ইরান আফগানিস্তানের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় । কিন্তু হেলমান্দ নদীর জলের ইরানের অংশীদারিত্বের সমস্যাটি দ্রুত এবং গুরুত্বের সাথে সমাধান না হলে এই বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ।’ তিনি জানান, ইরানের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল শিগগির আফগানিস্তানে গিয়ে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে।
এদিকে ইরানের অনড় মনোভাব দেখে সুর নরম করেছে আফগানিস্তান । আফগান মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলছেন,’আমরা ইরানের জলের অধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । যখনই নদীতে জল থাকবে, আমরা তা ইরানের দিকে প্রবাহিত করে দেবো ।’।