এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৮ এপ্রিল : শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে মৃত্যু হল এক রোগীর । আর তা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতালে । রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে চড়াও হয়ে কার্যত তান্ডব চালালো মৃতের পরিবারের লোকজন । কর্তব্যরত এক চিকিৎসক ও নার্সকে মারধরের পাশাপাশি হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ । বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম ব্লক হাসপাতালে । এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম তাজু শেখ ও টগর শেখ । হামলায় জড়িত বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
জানা গেছে,কেতুগ্রামের বেঙুটিপাড়ার বাসিন্দা চয়ন শেখ(৪৫)নামে এক রোগীর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারনে এদিন দুপুর পৌনে একটা নাগাদ কেতুগ্রাম ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকজন । হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় । কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে রোগীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার করে দেন কেতুগ্রাম ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসকরা ।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ থাকায় রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করায় অন্য গাড়ির ব্যাবস্থা করছিল রোগীর পরিবারের লোকজন । এদিকে তার মধ্যেই চয়ন শেখ নামে ওই রোগীর মৃত্যু হয় ।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে,রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে কেতুগ্রামের বেঙুটিপাড়া ও হাজামপাড়া থেকে শতাধিক মহিলা ও পুরুষ হাসপাতালে এসে জড়ো হয় । তাঁরা চিকিৎসায় গাফেলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতালে কার্যত তান্ডব চালাতে শুরু করে দেয় । হাসপাতালে ভাঙচুরের পাশাপাশি কর্তব্যরত চিকিৎসক অরবিন্দ রায়চৌধুরী ও নার্স আসপিয়া খাতুনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মৃতের আত্মীয় পরিজনদের বিরুদ্ধে । খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ।
যদিও চিকিৎসায় গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আক্রান্ত নার্স আসপিয়া খাতুন । তিনি বলেন,’ওই রোগীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল । পরীক্ষা করে দেখা যায় রোগীর শরীরে স্যাচুইরেশন মাত্রা ছিল মাত্র ৪৬ । তাই স্যাচুইরেশন মাত্রা বাড়ানোর জন্য রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল । তারপর রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে বর্ধমানে রেফার করে দেন ডাক্তারবাবু । কিন্তু রেফার করার পর রোগী মারা গেলে প্রচুর লোকজন এসে হাসপাতালে হামলা চালায়।’।