এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার,২৭ ফেব্রুয়ারী : বধূর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলার পর ভিন গ্রামের এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে দেওয়া হয়েছিল । খবর পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির গ্রামের শতাধিক লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে । তখন এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায় । শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ভাতার থানার দেবপুর কুশোডাঙ্গা আদিবাসীপাড়ায় । সংঘর্ষে কয়েকজন আহতও হয়েছেন বলে জানা গেছে । এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ ও বর্ধমান পুলিশলাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে ।
জানা গেছে,অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি দেবপুরের পাশে ঝাড়ুল গ্রামে । পেশায় কৃষক ওই ব্যক্তির কাছে জনমজুরির কাজ করেন দেবপুর কুশোডাঙ্গা আদিবাসীপাড়ার বছর চল্লিশের ওই বধু । শুক্রবার রাতে ওই বধুর ঘরে দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।
স্থানীয় বাসিন্দা কাঁদন মূর্মূ,মঙ্গলা মাড্ডি, কালো কিষ্কু, রাম মুর্মুদের অভিযোগ,’শুক্রবার রাতে ওই বধূর বাড়িতে চুপিসারে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল ঝাড়ুল গ্রামের ওই ব্যক্তি । বধূ চিৎকার করে উঠলে আমরা ছুটে গিয়ে অভিযুক্ত হাতেনাতে ধরে ফেলি । তারপর তাকে আটক করে রেখে দেওয়া হয় । পাশাপাশি বিষয়টির মিমাংসার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে খবর দিই । কিন্তু এদিন সকালে ঝাড়ুল গ্রাম থেকে শতাধিক লোকজন এসে আমাদের উপর হামলা চালায় । মারধরের পাশাপাশি আমাদের বাড়ি ঘরে ভাংচুরও চালানো হয় । এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন ।’
যদিও অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, ওই মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে পাওনা মজুরি মেটাতে গেলে কুশোডাঙ্গার লোকজন সন্দেহের বশে তাঁকে আটকে রেখে মারধর করে । এদিন সকালে ঝাড়ুল গ্রামের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে আনে । কিন্তু ওরা মিথ্যাভাবে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ।
এদিন কুশোডাঙ্গা আদিবাসীপাড়ায় বাসিন্দারা ঝাড়ুল গ্রামের ১৪ জনের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে হামলা,ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে । অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।