এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৪ জানুয়ারী : মালদা জেলার একটি হাই স্কুলের এক মুসলিম শিক্ষকের পবিত্র রামায়ণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । ভিডিওতে শ্রীরাম মন্দির উদ্বোধনীর দিন হিন্দুদের ‘গোমাংস খাওয়ার’ পরামর্শ দিয়েছেন ওই শিক্ষক । যা ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী নেতা কাজল গোস্বামী শিক্ষকের ভিডিওটি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে লিখেছেন,’নাম হলো সাদ্দাম হোসেন । মালদা জেলার কালিয়াচক-৩ এর বীরনগর হাই স্কুলের শিক্ষক। একজন শিক্ষক হয়ে এই জেহাদী বরাহনন্দন যে ভাবে রামায়নের অপব্যাখা আর রামলালার প্রানপ্রতিষ্ঠার দিনে যে ভাবে সকল হিন্দুদের গরু খাওয়ার বিধান দিয়েছে সেইক্ষেত্রে প্রশাসনকে এই জেহাদীর অবিলম্বে গ্রেপ্তার আর শাস্তি বিধানের জন্য দ়ষ্টি আকর্ষন করছি । এই বিষয়ে প্রশাসন কোনরুপ অবহেলা বা বিলম্বিত না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানাই। সনাতনী সৈনিক হিসেবে এইরুপ অন্যায় আর ভুলকথন মেনে নেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই উন্মাদ জেহাদীকে পুলিশ হেফাজতে না নেওয়া হলে এই ৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত হলে আমি অন্যান্য সনাতনীদের নিয়ে বৈষ্ণৱনগর থানার সামনে আমরন অনশনে বসবো । সনাতনের ধর্ম রক্ষার্থে জীবন পর্যন্ত দিতে রাজি আছি।’
ভিডিওতে ওই শিক্ষককে বলতে শোনা গেছে, ‘রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন প্রত্যেক হিন্দুভাই কি অযোধ্যায় গিয়ে গরুর মাংস খাবে ? অবশ্যই খাওয়া উচিত । কারন রাম যখন বনবাসে গিয়েছিল,তখন সীতা প্রার্থনা করেছিল,এটা রামায়ণের ২১৮ তম পৃষ্ঠায় পাওয়া যায় । সীতা প্রার্থনা করেছিল যে রাম যদি সুস্থভাবে অযোধ্যায় ফিরে আসে তাহলে সে অসংখ্য গরু উৎসর্গ করবে । তাহলে রামায়ণ থেকে একটা ভালো জিনিস পাওয়া যাচ্ছে যে ভালো কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলে গরু উৎসর্গ করা উচিত । তাই আমি হিন্দু ভাইদের বলব যে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ,যদিও এটা নিষিদ্ধ হিন্দু ধর্মে । তাই রামমন্দির উদ্বোধনের কাজ যদি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে হিন্দুদের গরু উৎসর্গ করা উচিত ও গরুর মাংস ভক্ষণ করা উচিত ।’ যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে, ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ঘটনাটি দিন চারেক আগে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন স্কুলে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় । কোনো এক ব্যক্তি শিক্ষককে সমর্থন করলে তাকে ধরে গনধোলাই দেওয়া হয় । যদিও সেই সময় স্কুলে না থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষক গণধোলাইয়ের হাত থেকে বেঁচে ।
কাজল গোস্বামী অন্য একটি ভিডিওতে অভিযোগ করেছেন যে সাদ্দাম হোসেন নামে ওই শিক্ষক ইতিপূর্বেও হিন্দু ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি করেছিল । কিন্তু পুলিশ প্রসাশন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি । এবারেও রামায়ণের ভুল ব্যাখ্যা করে ঘৃণা ছড়িয়েছে ওই শিক্ষক । রামায়নে বর্ণিত গরু উৎসর্গ নয়, পরন্তু গোমাতার পূজা করার কথা বলা হয়েছে বলে তিনি জানান । কাজলবাবু অভিযুক্ত শিক্ষককে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি অভিযুক্ত অবশেষে গ্রেফতার হওয়ায় কথা বলে তিনি পুলিশকে কৃতজ্ঞতাও জানান ।।