এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৬ ডিসেম্বর : রেল দপ্তরের জায়গা ঘেরা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় । আসলে, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় শিবলুনের কাছে একটা রাস্তা রয়েছে । বেশকয়েকটি গ্রামের বাসিন্দার ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে । পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ওই রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ করে । রেলদপ্তর নিজেদের জায়গা পুনরুদ্ধারের জন্য এর আগে একাধিকবার জায়গাটি ঘিরে চেষ্টা করেছিল । কিন্তু গ্রামবাসীদের বাধায় তা সফল হয়নি । আজ সোমবার ফের রেল দফতর থেকে ওই রাস্তা ঘিরে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় । ফলে রাস্তা না ঘিরেই রেল কর্তৃপক্ষকে ফিরে যেতে হয় । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে বিকল্প ব্যবস্থা না করেই রাস্তাটি অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দিতে চাইছে রেল দফতর।
জানা গেছে,কেতুগ্রামের শিবলুন ও অম্বলগ্রামের মাঝ দিয়ে গেছে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রেলপথটি । শিবলুন স্টেশন ও গঙ্গাটিকুরি রেলস্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় জেলা পরিষদের এই রাস্তাটি রেললাইনের উপর দিয়ে চলে গেছে । এই রাস্তা দিয়ে শিবলুন, অম্বলগ্রাম, বেলুন, খাড়ুল,গোমাই,সেনপাড়া, কেতুগ্রাম প্রভৃতি এলাকার মানুষ যাতায়াত করে । শিবলুনের দিকে রয়েছে হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল, পঞ্চায়েত অফিস । এছাড়া এই রাস্তা দিয়েই মাঠের ফসল ঘরে তোলেন স্থানীয় কৃষকরা । বিকল্প একটা রাস্তা রয়েছে ঠিকই তবে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় ।
স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয়গোপাল ঘোষ, পায়েল কোনাররা বলেন,’এই জায়গায় আণ্ডারপাশ অথবা রেলগেট করার জন্য আমরা দাবি জানিয়ে আসছি দীর্ঘদিন ধরে । কিন্তু তা না করে রেলদপ্তর জায়গাটা বারবার বন্ধ করে দিতে আসছে । ২০১৭ সালে গ্রামবাসীরা হাইকোর্টে মামলাও করেছিল । কিন্তু তার পরেও বিকল্প ব্যবস্থা না করেই রেলদপ্তর ফের রাস্তাটি বন্ধ করে দিতে চাইছে । সেই কারনে আজ আমরা রাস্তা ঘিরতে দিইনি।’
জানা গেছে, আজ আরপিএফ-কে সাথে নিয়ে শিবলুনের কাছে ওই রাস্তাটি ঘিরতে আসে রেলের লোকজন । এদিকে বেশ কিছু স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে রাস্তা ঘেরার বিরোধিতা করে । বেশ কিছুক্ষণ ধরে উভয়পক্ষের বার্তালাপ চলে । কিন্তু গ্রামবাসীদের বাধায় ফিরে যেতে হয় রেলের আধিকারিকদের ।।

