এইদিন ওয়েবডেস্ক,সম্বল(উত্তরপ্রদেশ),১৪ ডিসেম্বর : উত্তরপ্রদেশের সম্বলের নাখাসা থানা এলাকায় ৪৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা একটি হিন্দু মন্দির আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। এই মন্দিরটি ছিল মুসলিম এলাকায়। আশেপাশে অন্যান্য সম্প্রদায়ের বেশি লোক থাকার কারণে মন্দিরটির দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়নি এবং এর অবস্থা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ চুরির নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ এই মন্দিরের সন্ধান পায়। হুকিং খুঁজতে গিয়েজেলা ম্যাজিস্ট্রেট মন্দিরের দরজা খুলে দেখেন শিবলিঙ্গ ও হনুমান মূর্তি রয়েছে ভিতিরে । বলা হচ্ছে এই মন্দিরটি প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন । ঘটনাটি মহল্লা দীপা সরাই সংলগ্ন খাগ্গু সরাই এলাকায় । এখানে পুলিশবাহিনী বিদ্যুৎ চোরদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় একটি পুরানো শিব মন্দিরের সন্ধান পায়। দরজা খোলা হলে ভিতরে ধুলোর আস্তরণ পড়ে যাওয়া হনুমান মূর্তি ও শিবলিঙ্গ নজরে পড়ে । মন্দিরের আশপাশের এলাকায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর অবৈধ দখল ছিল। মন্দির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে প্রশাসন।
জানা গেছে,এই মন্দির সম্পর্কে নগর হিন্দু সভার পৃষ্ঠপোষক, বিষ্ণু শরণ রাস্তোগী বলেন, আগে এখানে হিন্দু জনগোষ্ঠী বাস করত, কিন্তু ১৯৭৮ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় এবং মুসলমানরা অনেক হিন্দুর বাড়িতে আগুন দেয়। ভয়ে হিন্দুরা পালিয়ে যায় এবং স্থানটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। তা না হলে আগে এই মন্দিরে ভজন কীর্তন হতো। তিনি আরও জানান, মন্দিরের কাছে একটি কূপ ছিল, কিন্তু আকিল আহমেদ তা ভরাট করে দিয়েছেন।
এর পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেন্দ্র পানসিয়া আশ্বাস দেন যে মন্দিরটিকে তার পুরানো রূপ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি অবিলম্বে পৌরসভাকে মন্দিরের চারপাশ থেকে অবৈধ দখল অপসারণের নির্দেশ দেন। এসএসপি ও সিও একসঙ্গে মন্দিরের দরজা খুলে ভেতরে পরিষ্কার করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পৌরসভাকে ভরাট করা কূপটি খুলতেও বলেছেন । একই সঙ্গে মন্দির দখলকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এএসপি শ্রীশ চন্দ্রও নিশ্চিত করেছেন যে মন্দিরটি পরিষ্কার করা হয়েছে এবং দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।।