এইদিন ওয়েবডেস্ক,হায়দ্রাবাদ,১১ মার্চ : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করার পর সারা দেশের পাশাপাশি তেলেঙ্গানার হিন্দু যুবকরাও উদযাপন করে । কিন্তু একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করতে কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানায় পুলিশ ক্রিকেট ভক্তদের উপর লাঠিচার্জ করেছে । তেলেঙ্গানার করিমনগর শহর এবং হায়দ্রাবাদের দিলসুখনগরে তেরঙ্গা পতাকা বহনকারী সমর্থকদের পুলিশ ধাওয়া করে এবং বিনা অপরাধে লাঠিপেটা করে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন,’দিলসুখনগরে হায়দরাবাদ পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। মানুষ ভারতীয় দলের জয় উদযাপন করছিল। করিমনগরেও একই ঘটনা ঘটেছে। এটা কি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির নতুন পদ্ধতি? তারা কাকে খুশি করতে চায়? ভারতীয়দের কোথায় উদযাপন করা উচিত?’
https://twitter.com/amitmalviya/status/1898802418885824674?t=4-g16_LyHrv_vIIDXXmKnQ&s=19
খবরে বলা হয়েছে, হায়দ্রাবাদের দিলসুখনগরে কিছু হিন্দু যুবক হাতে জাতীয় পতাকে নিয়ে রাস্তায় নেমে ভারতের জয় উদযাপন করছিল । কিন্তু পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। করিমনগরেও, যারা জাতীয় পতাকা নিয়ে উদযাপন করছিলেন তাদের থামানো হয়েছিল এবং এমনকি তাদের পতাকাও ওড়াতে দেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন,পাকিস্তানের জয়ের সময় উদযাপন হলে নীরব থাকলেও কংগ্রেস সরকার কেন ভারতের জয়ের উদযাপনের বিরোধিতা করছে ? তা নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। এই ইস্যুতে তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।
করিমনগরের বিজেপি সাংসদ বান্দি সঞ্জয় কুমারও সরকারের এই প্রকার ঘৃণ্য তোষামোদি নীতির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন,’তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির বলা উচিত – করিমনগর পুলিশ কোন দেশকে সমর্থন করছে না ? ভারতের জয় উদযাপন করতে পারছি না, কিন্তু পাকিস্তানের নাম লেখা ফ্লেক্স কি সরিয়ে ফেলা হবে? বিজয় উদযাপন কীভাবে সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠল? তেলেঙ্গানার ডিজিপি এবং গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাখ্যা করা উচিত কেন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে চায়? যুবসমাজ কংগ্রেসকে এর জবাব দিতে হবে ।’
প্রসঙ্গত,দিলসুখনগর একই এলাকা যা দুবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। ২০০২ সালে, সিমি সন্ত্রাসীরা টাইম বোমা ব্যবহার করে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, অন্যদিকে ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের জোড়া বিস্ফোরণে ১৭ জন নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। এই মামলায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সন্ত্রাসীদেরও সাজা দেওয়া হয়েছিল।।