এইদিন ওয়েবডেস্ক,আহমেদাবাদ,১৬ জুলাই : গুজরাট দাঙ্গার সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন কংগ্রেস নেতা এবং সেই সময়ে সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা মৃত আহমেদ প্যাটেল । আর এই ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad),আইপিএস সঞ্জীব ভাট এবং প্রাক্তন ডিজিপি আরবি শ্রীকুমার । নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিপাকে ফেলতে মূলত তাঁদের উপরেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে শুক্রবার আহমেদাবাদের একটি দায়রা আদালতে দেওয়া হলফনামায় জানিয়েছে গুজরাট দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের বিশেষ তদন্ত দল (সিট) ।
হলফনামায় বলা হয়েছে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি অনেক নির্দোষ ব্যক্তিকেও টার্গেট করেছিল আহমেদ প্যাটেল গ্যাং । গুজরাতের বিজেপি সরকারকে দুর্বল করার জন্য আহমেদ প্যাটেলের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা শেতলবাদ । তাঁকে প্রথম কিস্তি বাবদ ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন আহমেদ প্যাটেল । আহমেদ প্যাটেল একজন সাক্ষীর মাধ্যমে তাঁকে এই টাকা পাঠিয়েছিলেন। এর দুই দিন পরে তিস্তা শেতলবাদ এবং আহমেদ প্যাটেল আহমেদাবাদের একটি সার্কিট হাউসে আবার বৈঠক করেছিলেন । যেখানে তিস্তাকে আবার ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল । এই টাকা কোনো ত্রাণের কাজে ব্যবহার করা হয়নি ।
এসআইটি আদালতকে আরও বলেছে,এই বৈঠকের এক সপ্তাহের মধ্যে দাঙ্গার সময় তৈরি একটি ত্রাণ শিবিরে তিস্তা শেতলবাদ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেছিলেন। দাঙ্গার চার মাস পর, তিস্তা শেতলবাদ এবং আইপিএস সঞ্জীব ভাট আহমেদ প্যাটেলের সাথে তার দিল্লির বাসভবনে গোপন বৈঠক করেছিলেন । সিটের দাবি, পরে তাঁরা দুজনেই তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল দাঙ্গার ঘটনায় গুজরাট বিজেপির সিনিয়র নেতাদের নাম জড়িয়ে দেওয়া । তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, তিস্তা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়তে এবং রাজ্যসভার আসন পেতেই এই কাজ করেছিলেন । চক্রান্তের অংশ হিসাবে আরও কিছু তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করে সিট ।
উল্লেখ্য,২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা মামলা থেকে নরেন্দ্র মোদীকে আদালত অব্যহাতি দেওয়ার পাশাপাশি এই মামলায় তিস্তা শেতলবাদ কোনও মিথ্যা তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছিল । আর এই নির্দেশের পরেই মুম্বইয়ে তিস্তার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশের এটিএস । শুক্রবার তিস্তার জামিনের বিরুদ্ধে আদালতে দুই সাক্ষীও পেশ করা হয় ।।