এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,২৪ জানুয়ারী : একটি সরকারি স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল ওই স্কুলেরই এক শিক্ষক । তারপর সে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে খাদের মধ্যে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় শেষ পর্যন্ত ওই খাদ থেকে ছাত্রীর দেহটি উদ্ধার করেছে পরিবারের লোকজন । ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বারমের জেলার সেদওয়া মহকুমার অন্তর্গত বাখাসার থানা এলাকায় । এদিকে কুকর্মের পর এলাকা ছেড়ে চম্পার দিয়েছে ঘাতক শিক্ষক প্রহ্লাদ রাম (৩০)। পুলিশ তাকে খুঁজছে ।
জানা গেছে, প্রহ্লাদ রাম যে স্কুলে শিক্ষকতা করত ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল মৃতা কিশোরী । ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার । বাখাসার থানা এলাকার বাসিন্দা ১৭ বছরের ওই কিশোরী ওইদিন রাতে বাড়িতে বৃদ্ধা ঠাকুমার সঙ্গে ছিল । পরিবারের অনান্য সদস্যরা বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল । অনেক রাতের দিকে প্রহ্লাদ রাম বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে প্রথমে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা কিশোরী ঘটনার কথা পরিবারকে জানিয়ে দেবে বললে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রহ্লাদ । তারপর কিশোরীর মৃতদেহটি মাঠে নিয়ে গিয়ে খাদে ফেলে দেয় । পরের দিন সকালে মেয়েটির ঠাকুমা ঘুম থেকে উঠে এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করেও নাতনিকে খুঁজে পাননি। এরপর রবিবার বাবা-মা ও পরিবারের বাকি সদস্যরা বাড়ি ফিরে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে গ্রামের বাইরে একটি খাদে ওই কিশোরীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে । পরিবারের লোকজন দেহ উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়।
পুলিশ স্টেশন অফিসার সুরভান সিং বলেছেন যে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসী আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে । ঘাতক শিক্ষকের সন্ধান চলছে। মেডিক্যাল বোর্ডে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর সোমবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে তিনি জানিয়েছেন ।।