এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভোপাল(মধ্যপ্রদেশ),১৯ সেপ্টেম্বর : মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের কমলানগর থানা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে ৩ বছর বয়স্ক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক মহম্মদ কাসিম রেহানকে (Mohammed Qasim Rehan)গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মঙ্গলবার(১৬ সেপ্টেম্বর)তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরের দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় বিচার কোডের (বিএনএস) ৬৫-(২) এবং ৬৪ ধারা সহ পকসো আইনের সম্পর্কিত ধারায় এফ আই আর নথিভুক্ত করা হয়েছে । এদিকে মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সহযোগিতায় বিচারের জন্য একটি বিশেষ ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত গঠনের জন্য মুখ্য সচিব বীর রানাকে নির্দেশ দিয়েছেন । ভোপালের পুলিশ কমিশনার হরিনারায়ণচারী মিশ্রও বিষয়টি তদন্ত করতে একটি এসআইটি গঠন করেছেন।
জানা গেছে,অভিযুক্ত কাসিম রেহান প্রায় দেড় বছর ধরে ওই স্কুলে কম্পিউটার পড়াচ্ছিল । মেয়েটির মা তার মেয়ের শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত দেখতে পান। তিনি মেয়েকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে, মেয়েটি বলে যে ‘বাবা আঙ্কেল’ (যেমন মেয়েটি শিক্ষককে সম্বোধন করেছিল) তাকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছে। পরের দিন পরিবার শিশু কল্যাণ কমিটির সামনে মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করে । সেখানে শিশুটি ধর্ষণের কথাও জানায় । নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী,সে স্কুলে যাওয়ার পর টয়লেটের কাছে ঘটনাটি ঘটে । ডিসিপি বলেছেন যে যেহেতু মেয়েটির মা কেবল অনুপযুক্ত স্পর্শের অভিযোগ করেছিলেন, তাই হয়রানির এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরে, মেয়েটির বক্তব্যের ভিত্তিতে যৌন নির্যাতনের মামলা নথিভুক্ত করা হয় । তিনি বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তার স্বাস্থ্য ভালো আছে।
মেয়েটির মা পুলিশকে বলেছেন যে তিনি এর আগেও এমন জিনিস দেখেছেন, তবে তিনি ভাবেননি যে তার মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেছেন যে বিষয়টি তার নজরে এসেছে এবং তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুল শিক্ষামন্ত্রী উদয় প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।