এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৫ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা কার্যত খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে ৷ একদিকে জঙ্গি সংগঠন জামাত ইসলামি ও বিএনপির দ্বারা নির্বাচিত বাংলাদেশের তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য পাকিস্তান থেকে অস্ত্রসস্ত্র কিনতে শুরু করেছে । অন্যদিকে জামাত ইসলামি ও বিএনপির জঙ্গিরা প্রতিদিন নিয়ম করে দেশের কোনো হিন্দু এলাকায় হামলা চালিয়ে মারধর, ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে । পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জন্য রীতিমতো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার ।
এদিকে বাংলাদেশের মুসলিমদের বিক্ষোভের নতুন একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । সেই ভিডিওতে ‘নাড়ায়ে তকদির আল্লাহু আকবর’ শ্লোগানের পাশাপাশি “একে একে হিন্দু ধর,ধইর্যা ধইর্যা জবাই কর” শ্লোগান দিতে শোনা গেছে বাংলাদেশি মুসলিমদের । ভিডিওটি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন ব্লিটিজ পত্রিকার সম্পাদক সালহা উদ্দিন সোয়েব চৌধুরী । প্রতিক্রিয়ায় তিনি লিখেছেন,’সন্ত্রাস সতর্কতা….বাংলাদেশে আগে ইসলামপন্থী এবং জিহাদিরা ইসকনকে হত্যার স্লোগান দিত, এখন তারা হিন্দুদের হত্যার আহ্বান জানাচ্ছে। এটা ঠিক তখনই ঘটে যখন ইসলামপন্থী এবং জিহাদিরা ক্ষমতা দখল করতে সফল হয়।’
তার এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ন্যাশানাল /কান্ট্রি /কালচার /সিভিলাইজেশ্যন নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন,’প্রকৃতপক্ষে ইসকন ছিল একটা অজুহাত, হিন্দু সমাজ তাদের লক্ষ্য ছিল এবং থাকবে। এবং একবার, বাংলাদেশের হিন্দুদের যত্ন নেওয়া হলে, পূর্ব পাকিস্তানের জম্বিরা তাদের দৃষ্টি ভারতের হিন্দুদের দিকে ঘুরিয়ে দেবে যেখানে তারা তাদের সহ-ধর্মবাদীদের কাছ থেকে সহজেই সাহায্য পাবে ।’ পবিত্র মোহন বলেছেন,’আমার অন্তরের চেতনা একদিন আমাদের সেনাবাহিনী প্রবেশ করবে এবং হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা দেবে। পাপ কা ঘড়া ভর চুকা হ্যায়, সত্যের জয় হবে।’
আর এন সত্যনারায়ণ রাও-এর প্রতিক্রিয়া, ‘শুধু হিন্দু নয়, তারা ঘৃণা করে, ইহুদি, খ্রিস্টান, জৈন অন্য সব সম্প্রদায়কে। তারা নারী, সঙ্গীত, স্থাপত্য, চিকিৎসা শিক্ষা, শিক্ষা, মোবাইল, ঘৃণা করে। তারা শুধুমাত্র মাদ্রাসা পছন্দ করে যেখানে মগজ ধোলাই দিয়ে সন্ত্রাসী তৈরি করা হয় ।’ যদিও ভিডিওটি কবে ও কোথাকার তা স্পষ্ট নয় । ভিডিও এর সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন ।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মুসলিম হামলাকারীদের দ্বারা মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েছে হিন্দুরা । অন্তত ১৩০ টি হিন্দুর বাড়িঘর, দোকান ভেঙে দিয়েছে । ভেঙে দেওয়া হয়েছে প্রায় ২০ টি মন্দির । মুসলিমদের সঙ্গে হামলায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনী । কোনো হিন্দু যাতে হামলা বা ক্ষয়ক্ষতির ভিডিও বা ছবি না করতে পারে সেজন্য বেছে হিন্দুদের গ্রেফতার করা হয়েছে । গোবিন্দ দাস নামের এক ব্যক্তি হিন্দু বাড়িঘর ভাঙচুরের ভিডিও রেকর্ড করলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে । বিপ্র এবং সবুজ নামে দুই হিন্দু মোটরবাইক করে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গেলে, তাদেরও সেনাবাহিনীর আটকে রাখে । সবুজ দমকল বাহিনীতে কর্মরত থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু বিপ্রকে এখনো আটকে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের জেএমসি মিডিয়া জানিয়েছে, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এলাকাটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা যাতে প্রকাশ না পায়, সেজন্য বাইরের কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারাও ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না, স্কুল শিক্ষকসহ অন্য পেশার মানুষও এই বিধিনিষেধের আওতায় রয়েছেন।।