এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১১ নভেম্বর : একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার । ইতিমধ্যে ট্যাব কেনার টাকাও অনেক পড়ুয়া পেয়ে গেছে । পাশাপাশি জেলায় জেলায় ট্যাবের টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগও উঠছে । পড়ুয়াদের টাকা ঢুকে পড়ছে অন্য অ্যাকাউন্টে । মালদা ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার একাধিক স্কুলে এই ধরনের ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে । মালদার ৩ স্কুলে একাদশ-দ্বাদশের ১৫০ পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গেছে । উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর কবি কেশব লাল বিদ্যাপীঠের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ২২ জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ উঠেছে । প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের অভিযোগ, ভুয়ো অ্যাকাউন্টে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা চলে যাচ্ছে । সরকারি পোর্টাল থেকে কীভাবে ওটিপি বাইরে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা । তাদের অভিযোগ যে এই ঘটনায় সাইবার-তদন্ত না করেই বলির পাঁঠা করা হচ্ছে প্রধান শিক্ষকদের । সংগঠনটি এই দুর্নীতির ঘটনার তদন্তভার রাজ্যের সাইবার ক্রাইম শাখাকে দেওয়ার দাবি তুলেছে । যদিও সাইবার ক্রাইম শাখা নয়,রাজ্যে ‘ট্যাব কেলেঙ্কারি’ তদন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের(ইডি) হাতে তুলে দেওয়ার দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল৷ তার দাবি যে এর তদন্ত ইডির হাতে না দিলে মমতা ব্যানার্জি ধামাচাপা দিয়ে দেবে৷
এই দাবি জানিয়ে তিনি আজ সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে লিখেছেন, ‘ট্যাব কেলেঙ্কারি, ইডি তদন্ত প্রয়োজন । জেলায় জেলায় ট্যাব কেলেঙ্কারর দায় কেন প্রধান শিক্ষকদের ঘাড়ে ফেলা হচ্ছে? ভুয়ো অ্যাকাউন্টে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা চলে যাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম শাখা তদন্ত করুক। ‘সরকারি পোর্টাল থেকে কীভাবে বাইরে গেল ওটিপি? ঘটনায় সাইবার-তদন্ত না হয়ে, নিরীহ প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। কেন?
আমরা দেখলাম আবাসের টাকা এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে চলে যাচ্ছে। টাকার হাত-পা গজায়নি। প্রশাসন ও শাসক দলের মদত ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়। সরকারি পোর্টালের ওটিপি বাইরে বেরোয় কীভাবে? কারা এর দায়িত্বে আছেন? তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নাকি কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে যাবে বলে সরকার সঠিক তদন্তের পথে যাচ্ছে না। মালদার ৩ স্কুলে একাদশ-দ্বাদশের ১৫০ পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে! বনগাঁয় দুই স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢোকেইনি ট্যাবের টাকা। বনগাঁয় ট্যাবের টাকা আসেনি অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে । উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর কবি কেশব লাল বিদ্যাপীঠের একাদশ শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণীর ২২ জন ছাত্র ছাত্রী একাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। তাদের অ্যাকাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন হয়েছে কি করে সেটা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আরও এরকম ঘটনা আছে অন্য জেলায়।’
তিনি লিখেছেন,’এই কেলেঙ্কারির পিছনে বিরাট চক্র আছে। আমি চাই ইডি এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করুক। তাহলে কেলেঙ্কারি ঠিক কত বড় আকারের বোঝা যাবে। না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সব ধামাচাপা দিয়ে দেবে।’।