এইদিন ওয়েবডেস্ক,সুইজারল্যান্ড,০৩ ডিসেম্বর : পয়লা জানুয়ারী থেকে সুইজারল্যান্ডে নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম মহিলাদের ধর্মীয় পোশাক “বোরখা” । ২০২১ সালে, সুইস জনগণ এই নিষেধাজ্ঞাকে গনভোটের মাধ্যমে অনুমোদন করেছিল । বোরখা নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট পড়ে ৫১.২ শতাংশ ভোট এবং ৪৮.৮ শতাংশ ভোট বিপক্ষে পড়ে । সুইস সরকার অবশ্য এই ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছিল, যুক্তি দিয়েছিল যে কে কি পোশাক পরবে তা নির্ধারণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়।
নতুন সুইস আইন অনুসারে, যারা বেআইনিভাবে জনসমক্ষে তাদের মুখ ঢেকে রাখবে, তাদের ১,০০০ সুইস ফ্রাঙ্ক বা ভারতীয় মূদ্রায় ৯৫,০৭৫.৬০ টাকা জরিমানা করা হবে । এর মধ্যে ব্যক্তিগত বা পবিত্র স্থান এবং বিমান বা কূটনৈতিক প্রাঙ্গনে কিছু ব্যতিক্রম সহ নাক, মুখ এবং চোখ ঢেকে রাখা অন্তর্ভুক্ত ।
সুইজারল্যান্ড সরাসরি গণতন্ত্র ব্যবস্থার অধীনে কাজ করে, যেখানে নাগরিকরা নিয়মিত জাতীয় এবং আঞ্চলিক বিষয়ে ভোট দেয়। “বোরকা নিষিদ্ধ” গণভোট ছিল এই ব্যবস্থার অংশ, জনগণকে এই বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল । তাতে বোরখা নিষিদ্ধ করার পক্ষে বেশিরভাগ মানুষ ভোট দেয় । চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে । এর আওতায় সার্বজনীন জায়গায় বোরকা ও নেকাবের মতো মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে । তবে জনস্বাস্থ্যের জরুরী অবস্থার সময় বা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার কারণে মুখমন্ডল ঢেকে রাখার ব্যতিক্রম রয়েছে। উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে মুসলিমের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ । আর তারা সকলেই মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি দেশ থেকে আসা শরণার্থী ।।