এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,১৬ সেপ্টেম্বর : উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় একটা অদ্ভুত বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা সামনে এসেছে । স্বামীর স্নানে অনীহা । মাসে দু’একবার স্নান করেন । বাকি দিনগুলিতে শরীরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ‘শুদ্ধ’ হয়ে নেন । এদিকে নিয়মিত স্নান না করায় স্বামীর শরীর থেকে বের হত প্রবল দুর্গন্ধ । সেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়ের মাত্র ৪০ দিনের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী । ওই মহিলা বলেছেন যে তাঁর স্বামী মাসে একবার বা দুবার স্নান করেন। এই কারণে, তার শরীর থেকে প্রচন্ড দুর্ঘন্ধ বের হয় । দুর্গন্ধে তার প্রায়ই বমি হত। এক ঘরে থাকার কারনে রাতে তার ঘুম আসত না । তাই দুর্গন্ধের হাত থেকে নিস্তার পেতে তিনি আগ্রার পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন । সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, মহিলার পরিবারও পুলিশের কাছে যৌতুকের হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ডিভোর্সের দাবি জানিয়েছে।
জানা গেছে,স্বামীর নাম রাজেশ। তার স্ত্রীর অভিযোগ যে অনেক পীড়াপীড়ির পর তার স্বামী স্নান করতেন না পরিবর্তে নিজের গায়ে গঙ্গা জল ছিটিয়ে নেওয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন । কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হত না । যদিও রাজেশের দাবি,স্ত্রীর জেদাজেদির পর বিয়ের ৪০ দিনের মধ্যে তিনি অন্তত ৬ বার স্নান করতে বাধ্য হয়েছেন । কিন্তু স্নানে এত অনীহা কেন ? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর রাজেশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি ।
এদিকে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে কয়েক দিন সংসার করার পরেই বাপের বাড়ি চলে যান রাজেশের স্ত্রী । পরে পরিবারের সঙ্গে আগ্রার পারিবারিক আদালতে গিয়ে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন । এদিকে মামলা দায়ের হতেই রাজেশ সংবাদ মাধ্যমের কাছে কাতরভাবে আবেদন জানিয়েছেন,স্ত্রী ফিরে এলে এবার থেকে তিনি রোজ স্নান করবেন । যদিও তার স্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে ওমন স্বামীর সঙ্গে তিনি আর ঘর করবেন না । যদিও বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এখনো গ্রহণ করেনি আদালত । পরিবর্তে এক সপ্তাহের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীকে কাউন্সেলিং সেন্টারে আসতে বলা হয়েছে।
তবে এই প্রকার অদ্ভুত বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার ঘটনা এই প্রথম হয়নি৷ এর আগে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে আরও একটি অদ্ভুত বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা সামনে আসে। কুরকুরের প্যাকেট না পেয়ে স্বামীর কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলেন শহরের বাসিন্দা এক মহিলা।আসলে মহিলা মশলাদার খাবারে বেশ আসক্ত ছিলেন । তিনি তার স্বামীকে প্রতিদিন ৫ টাকা দামের কুরকুরে আনতে বলতেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে অনেক কথা কাটাকাটি হতো। একদিন স্বামী স্ত্রীর জন্য কুড়কুড়ের প্যাকেট আনতে ভুলে গিয়েছিল, যার কারণে স্ত্রী তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি করেছিল।।