এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,১৮ ডিসেম্বর : রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে ১০০০ টাকার পূঁজিতে তেলেভাজা ও ঘুঘনি ফেরি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মুখে এহেন দায়ত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় বইছে রাজ্য জুড়ে । মমতার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম । মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের মেয়ের তো চাকরি চলে গেছে, ওকে দিয়ে শুরু করুন না ।’ এরপর মঞ্চে উপস্থিত এক দলীয় নেতাকে তিনি বলেন,’ধ্রুব সাহা কে ১০০০ টাকা দিয়ে যাচ্ছি । ওনার মামার বাড়িতে দিয়ে আসবেন । প্রথমে ঘুঘনি বিক্রি দিয়ে শুরু করুক ।’
আসলে,গতকাল মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, ‘ভাই,যখন কিছু নেই, এক হাজার টাকা নাও । দুটো চায়ের কেটলি কেনো । ঘর থেকে চা তৈরি করে আনো । আর বিস্কুট নাও । বউকে দিয়ে ঘুগনি তৈরি করে আনো । প্লাটফর্মে গিয়ে দাঁড়াও । বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়াও । এই টাকা তোমার কতদিনে কতটাকায় গিয়ে দাঁড়ায় ।’ উদাহরণ স্বরূপ মমতা জানান যে আজও তিনি নাকি নিজের বিছানা নিজে তোলেন ।
আজ বীরভূমের লাভপুরে জনসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর “তেলভাজা আর ঘুঘনি বিক্রি” র পরামর্শের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,’ওনার ভাইপো ভাইজিরা কেন করছেন না ? চারিটি বিগিনস অ্যাট হোম । মমতা ব্যানার্জি তার বাড়ির বেকারদের দিয়ে প্রথমে এটা শুরু করুক। মমতা ব্যানার্জির মামাত ভাইয়ের যে মেয়ের চাকরি চলে গেছে, নন টিচিং এ, ওকে দিয়ে শুরু করুক না। ঘুঘনির ব্যবসাটাই করুক । ধ্রুব সাহা কে আমি এক হাজার টাকা দিয়ে যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসবেন ।’ ঠিক কি বলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুনুন 👇
উল্লেখ্য,বীরভূমের রামপুরহাট-১ নম্বর ব্লকের চাকাইপুর গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পৈতৃক বাড়ি ৷ তার পাশেই কুসুম্বা গ্রামে তাঁর মামার বাড়ি ।কুসুম্বা গ্রামে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে নীহার মুখোপাধ্যায়ের পরিবার । নীহারবাবুর মেয়ে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের বিয়ে হয় রামপুরহাট থানার অন্তর্গত আয়াস গ্রামে । তার মামাতো ভাইঝি বৃষ্টি মুখোপাধ্যায় অনৈতিকভাবে এসএসসির গ্রুপ সি ক্লার্কের চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ । আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় । খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের একজন সদস্য ভুয়ো চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায় ।।
